ঢাকা, শনিবার, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ মে ২০২৪, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

তারার ফুল

আসিফ আকবরের সঙ্গে কিছুক্ষণ

‘নিয়মটা চালু করার জন্যই ব্যতিক্রম লড়াইয়ে নেমেছি’

সোমেশ্বর অলি, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৫
‘নিয়মটা চালু করার জন্যই ব্যতিক্রম লড়াইয়ে নেমেছি’ আসিফ আকবর / ছবি: নূর- বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

আসিফ আকবর সবসময় নতুনত্বে বিশ্বাসী। গান নিয়েই তার যতো ধ্যানজ্ঞান।

নতুন বছরের আগেই নতুনভাবে শ্রোতাদের সামনে আসছেন জনপ্রিয় এই কণ্ঠশিল্পী। পরিকল্পনা এগিয়েছে অনেকদূর। আগামী মাসের আগেই প্রায় ১৫টি নতুন গান প্রকাশ করবেন তিনি। এগুলোর মধ্যে ডলি সায়ন্তনীর সঙ্গে চারটি দ্বৈত, বাকিগুলো তারই গাওয়া। আসিফের নতুন গানগুলোর গীতিকার, সুরকার ও সংগীতায়োজকের তালিকায় আছেন লতিফুল ইসলাম শিবলী, মারজুক রাসেল, রাজেশ ঘোষ, রাজীব আহমেদ, প্রীতম ব্যানার্জি, ইয়ামিন এলান, জাকের রানা প্রমুখ। পড়ুন আসিফের সাক্ষাৎকার-
 
বাংলানিউজ: আপনি কী সিঙ্গেলস প্রকাশ করতে যাচ্ছেন?
আসিফ আকবর: অনেকে বলে সিঙ্গেলস ছাড়বো, তিন মাস সময় দেবো। সিঙ্গেলস কারা করে? যারা নিজেরাই সুর করে আর গায়। তাদেরকে অন্য প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ডেকে গাওয়াবে না। বাইরের প্রযোজনায় এ ধরনের কাজ কম হয়। কিন্তু আমরা হচ্ছি ভার্সেটাইল সিঙ্গার। আমরা মূলধারার শিল্পী। আমাদের সব জায়গায় কাজ করতে হয়। ফিল্মে, অডিওতে, নাটকে গাইতে হয়, বিদেশিদের জন্যও গাইতে হয়। সিঙ্গেলস ফমুর্লাটা বেকার শিল্পীদের জন্য। আমেরিকায় যদি একটা সিঙ্গেল প্রকাশ করে বিয়ন্সে, দেখা গেলো দেড় কোটি হিট হয়েছে। দেড় কোটি হিটে বিয়ন্সে কাফি। উনি টাকাটা ঠিকঠাক পাবেন। আমরা কিন্তু পাবো না। সিঙ্গেলসের কথা বাংলাদেশের মানুষ দ্রুত ভুলে যায়। কারও একটা গান নিয়ে জাতি বসে থাকবে এটা ভাবার কোনো কারণ নাই।

বাংলানিউজ: আপনি যে ফেসবুকে ঘোষণা দিলেন এক মাসে ১০টি নতুন গান ছাড়বেন, সেগুলো প্রকাশের প্রক্রিয়াটা কী হবে? আর গান থেকে অর্থপ্রাপ্তি বা স্বত্ত্ব কীভাবে বিবেচ্য হবে?
আসিফ: আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ১৫টি গান প্রকাশ করবো অনলাইনে, উইথ জুকবক্স। তারপর শীতে শুরু করবো মিউজিক ভিডিওর কাজ। ডিজিটালি প্রকাশ করা হবে ঠিকই, তবে একসঙ্গে না। কয়েকদিন পরপর এগুলো ছাড়া হবে। মানছি এখন অ্যালবাম চলে না। কিন্তু শ্রোতারা ঠিকই অনলাইনে গান শুনছে। এখন বিষয়টা কনটেন্টের। আমি গ্রামীণফোনের সঙ্গে কাজ করি। ইউটিউবে জুকবক্স করে রেখেছি। শ্রোতারা চাইলেই শুনতে পারছেন। আমি বলেছিলাম ফিল্মে গাইবো না, ফিল্মের মানুষজন আমার কাছ থেকে গান কিনে নেবেন। এই নতুন গানগুলোর মধ্যে দুটি আমি ফিল্মে বিক্রি করেছি। সুমন দে কিনে নিয়েছেন। আগে তো রয়্যালটি পাইনি। এখন আর সেটা হবে না। গানের সম্পূর্ণ স্বত্ত্ব যেন শিল্পী, গীতিকার, সুরকারের কাছে থাকে আমি সেই নিয়মটা চালু করার জন্যই ব্যতিক্রম লড়াইয়ে নেমেছি।

বাংলানিউজ: এতো গেলো দেশের কথা। ভারতেও নাকি কাজ করছেন?
আসিফ: ভারতের ভেনাস রেকর্ডসের সঙ্গে কিছু কাজ হচ্ছে। ইতিমধ্যে কাজ শুরু হয়ে গেছে। যদিও আমি যেতে পারিনি ভিসা জটিলতায়। ওদের সঙ্গে ছয়টি গান করার কথা। এর মধ্যে মহালক্ষ্মী আইয়ার, আমি আর জুবিন গর্গ গাইবো। বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্ব নিয়ে যে গানটি হিন্দিতে গাইবেন জুবিন, সেটাই বাংলায় গাইবো আমি।
 
বাংলানিউজ: শুনলাম হিন্দিতেও গাইবেন?
আসিফ: হিন্দি ফিল্মে গাওয়ার জন্য তো আমার প্রস্তাব আছেই। এগুলো এখনই বলতে চাই না। বাংলাদেশের অনেক শিল্পী চাপাবাজি করে। অফ দ্য রেকর্ড যদি বলি…(আসিফ বর্ণনা করলেন বলিউডের কোন কোন বড় প্রযোজক আর পরিচালক তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। )

বাংলানিউজ: কিন্তু আপনি ভারতীয় ভিসা পাচ্ছেন না। এ ক্ষেত্রে তাদের প্রস্তাব রাখবেন কীভাবে?
আসিফ: আমি তো নদীর জলের মতো। একদিক দিয়ে ঠিকই বের হয়ে যাবো, তাই না? কারও ওপর ভরসা করার কিছু নাই। আল্লাহ ভরসা। তাছাড়া ভারতের গান গাওয়ার জন্য সে দেশে যেতে হবে এমন তো কথা নেই। তারাই আসবেন আমার কাছে (হাসি)। এখন তো উন্নত প্রযুক্তির যুগ। এজন্য আমি একটি অত্যাধুনিক স্টুডিও দিচ্ছি। গান-বাজনা থেকে এখন আমার চাওয়ার কিছু নাই। আমি সর্বোচ্চ সম্মানসহ সবকিছু পেয়েছি। এখন আমার কাজ ঝঙ্কার তোলা! অডিও শিল্পের জন্য আমি চাই ইন্টারন্যাশনাল এক্সপোজার। আশা করি, আমি দ্রুত আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পৌঁছে যেতে পারবো।

বাংলাদেশ সময়: ১১৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৫
এসও/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

তারার ফুল এর সর্বশেষ