রূপালি পর্দা কিংবা গানের তারকারা সাধারণত টপচার্ট, বক্স অফিস, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম শাসনের পাশাপাশি দর্শক মাতান। তবে তাদের মধ্যে কেউ কেউ বিশ্বরেকর্ড করতেও ওস্তাদ! ২০১৫ সালে কয়েকজন প্রিয় তারকা নতুন নতুন রেকর্ড গড়েছেন।
ওয়ান ডিরেকশন
রেকর্ড : প্রথম চার অ্যালবামই টপচার্টের শীর্ষে।
প্রথম ব্যান্ড হিসেবে প্রথম তিনটি অ্যালবামই প্রকাশের পর টপচার্টের এক নম্বরে স্থান করে নেওয়ার রেকর্ড গত বছর ভেঙেছে ওয়ান ডিরেকশন। মিউজিক চার্টে তাদের স্বপ্নিল পথচলা অব্যাহত রয়েছে। ফলে চতুর্থ অ্যালবামও প্রকাশের পরপরই টপচার্টের পয়লা নম্বর দখল করায় বিশ্বরেকর্ড গড়েছে ব্যান্ডটি। তারা এখন বিশ্বের একমাত্র ব্যান্ড যাদের চারটি অ্যালবামই এমন সাফল্য পেলো।
ডোয়ায়েন জনসন
রেকর্ড : তিন মিনিটে ১০৫টি সেলফি।
রেসলিং মাঠে প্রতিপক্ষে মুখ আর হাড় ভেঙে গুড়ো করে দিতেন একসময়, এবার বিশ্বরেকর্ডও ভাঙলেন ডোয়ায়েন ‘দ্য রক’ জনসন। কম সময়ে বেশি সেলফি (তিন মিনিটে ১০৫টি) তুলে নতুন রেকর্ড গড়েছেন তিনি। তার কথায়, ‘আমি চ্যালেঞ্জ খেতে পছন্দ করি সকালের নাস্তার মতো। ’
ভিন ডিজেল
রেকর্ড : ফেসবুক পোস্টে সর্বাধিক লাইক।
ভিন ডিজেলের ভক্ত অসংখ্য। হলিউডের এই অ্যাকশন তারকাকে আদর্শ মেনে চলেন অনেক অনুসারী। এ বছর সহকর্মী পল ওয়াকারের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তার সঙ্গে তোলা নিজের একটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন তিনি। লাইকের দিক দিয়ে এটি বিশ্বরেকর্ড গড়ে। মার্কিন এই অভিনেতা জানিয়েছেন, এ ছবি তার কাছে খুব আবেগময়।
অ্যাডেল
রেকর্ড : ভেভোতে কম সময়ে বেশিবার দেখা ভিডিও।
‘হ্যালো’ গানের মাধ্যমে বিশ্বসংগীতে ফিরে একের পর এক রেকর্ড গড়েছেন ব্রিটিশ গায়িকা অ্যাডেল। এর মিউজিক ভিডিওটি রেকর্ড গড়েছে ভেভো ডটকমে। প্রথম ২৪ ঘণ্টায় এটি দেখা হয়েছে ২ কোটি ৭০ লাখ বারেরও বেশি। প্রকাশের প্রথম সপ্তাহে ডিজিটাল পন্থায় এর ১১ লাখ কপি বিক্রি হয়েছে। ফলে এটি উঠেছে বিলবোর্ড হট হান্ড্রেড চার্টের শীর্ষে। এবারই প্রথম এই চার্টের কোনো গান ১০ লাখ ডাউনলোডের নজির অতিক্রম করলো। স্পটিফাইতে বিশ্বজুড়ে ৪ কোটি ৭৫ লাখ বার বেজেছে ‘হ্যালো’ গানটি। এক সপ্তাহে কোনো গান এতো বেশিবার বাজানোর নজির আর নেই। এ ছাড়া অ্যাডেলের নতুন অ্যালবাম ‘টোয়েন্টি ফাইভ’-এর ৩৩ লাখ ৮০ হাজার কপি বিক্রি সাতদিনে হয়েছে শুধু যুক্তরাষ্ট্রে। ১৯৯১ সালের পর থেকে এটাই একমাত্র অ্যালবাম যার বিক্রি ছাড়ালো ৩০ লাখের ঘর।
এড শিরান
রেকর্ড : দীর্ঘ সময় ধরে ইউকে সিঙ্গেলস চার্টের শীর্ষে থাকা।
এই বিশ্বরেকর্ডটি নিজেই একটি রেকর্ড! এর গর্বিত স্রষ্টা ব্রিটিশ গায়ক এড শিরান। তার গাওয়া ‘থিংকিং আউট লাউড’ ১৯ মাস ধরে ইউকে সিঙ্গেলস চার্টের এক নম্বরে ছিলো। ২০১৪ সালে ঢুকে তুমুল জনপ্রিয়তার সুবাদে এ বছরের জুলাই পর্যন্ত গানটির শীর্ষস্থান অক্ষুণ্ন ছিলো।
মাইলি সাইরাস
রেকর্ড : ইন্টারনেটে সবচেয়ে বেশি খুঁজে বেড়ানো পপতারকা।
মাইলি সাইরাস ছাড়া যেন যে কোনো তালিকাই অসম্পূর্ণ! সারাক্ষণ মুখ চালু রাখা আর উদ্ভট পোশাক পরে ঘুরে বেড়ানোই তার চেনা দিক। ভালোবাসুন আর ধিক্কার দিন, মাইলিকে এড়ানো যায় না! ফলে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সবচেয়ে বেশি খুঁজে বেড়ানো পপতারকা হওয়ার রেকর্ড গড়েছেন তিনি।
কেইটলিন জেনার
রেকর্ড: টুইটারে চার ঘণ্টায় দ্রুত ১০ লাখ অনুসারী।
বছরজুড়ে খবরের শিরোনামে ছিলেন কেইটলিন জেনার। পুরুষ থেকে নারীতে রূপান্তরিত হওয়ায় রাতারাতি সেনসেশনে পরিণত হন রিয়েলিটি শো তারকা ও একসময়ের অলিম্পিক দৌড়বিদ। ফলে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম টুইটারে অ্যাকাউন্ট খোলার চার ঘণ্টার মধ্যে ১০ লাখ অনুসারী হয়ে গেছে তার। এর মধ্য দিয়ে তিনি ভেঙে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার রেকর্ড। ১০ লাখ অনুসারী হতে ওবামার লেগেছিলো চার ঘণ্টা ৫২ মিনিট।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৫
জেএইচ