সুরকার ও সংগীত পরিচালক প্রিন্স মাহমুদের প্রথম মিশ্র গানের অ্যালবাম ‘শক্তি’ প্রকাশিত হয় ১৯৯৫ সালে। এরপর পেরিয়ে গেছে ২০ বছরেরও বেশি সময়।
প্রিন্স মাহমুদ মানেই হিট গানের উন্মাদনা। আবার এসেছেন তিনি মিশ্র অ্যালবাম নিয়ে। নাম ‘খেয়ালপোকা’। রবি রেডিওতে সম্প্রতি প্রকাশিত হলো এটি। এবার জি-সিরিজ থেকে তা বের হচ্ছে সিডি আকারে। অ্যালবামের প্রসঙ্গ ধরে পড়ুন স্বল্প ও মিষ্টভাষী প্রিন্স মাহমুদের সাক্ষাৎকার-
বাংলানিউজ: অ্যালবামের নাম ‘খেয়ালপোকা’ কেনো?
প্রিন্স মাহমুদ: কিছু মনে করে এ নাম দেওয়া না। মনে হলো তাই দিয়েছি। অতো কিছু ভেবে দেইনি।
বাংলানিউজ: ‘খেয়ালপোকা’য় কী ধরনের গান রয়েছে?
প্রিন্স মাহমুদ: ভালোবাসা দিবসকে সামনে রেখে অ্যালবামটি করা তো, তাই সবই প্রেমের গান। পুরো টইটুম্বুর ভালোবাসার গান এগুলো। আমার অন্যান্য গানের মতোই শ্রোতারা একনাগাড়ে শুনে ফেলতে পারবেন এসব গান।
বাংলানিউজ: এ অ্যালবামে এমন শিল্পীরা আছেন, যারা এর আগে আপনার সঙ্গে কাজ করেননি। আপনার শিল্পী নির্বাচনে তরুণদের প্রাধান্য দেখা যাচ্ছে...
প্রিন্স মাহমুদ: আমি কিন্তু সেই শুরু থেকেই তরুণদের নিয়ে কাজ করছি। ১৯৯৯-২০০০ সালেও করেছি। এটা ঠিক, ‘খেয়ালপোকা’য় তরুণদের সংখ্যাই বেশি। এ অ্যালবামে গান গেয়েছে তাহসান, তপু, কনা, মাহাদি, এলিটা, ইমরান, মিনার, শামীম, ইসমত আরা ইভা ও নন্দিতা। তরুণদের কোনো কারণে প্রাধান্য দিচ্ছি না। যাদের ভয়েস আমার ভালো লাগে, তাদের নিয়ে কাজ করি।
বাংলানিউজ: ক্যাসেট, সিডির যুগ পেরিয়ে এখন গান প্রকাশ হচ্ছে মোবাইল ফোন কিংবা অনলাইনে। ‘খেয়াল পোকা’ রবি রেডিওতে প্রকাশ করেছেন। সম্ভবত আপনি এবারই প্রথম এভাবে গান ছাড়লেন। এই পদ্ধতি কতটুকু কার্যকর বলে মনে হয়?
প্রিন্স মাহমুদ: গান ভালো হলে সবাই শোনে। সেটা কোথায় কীভাবে বের হলো সেটা কিন্তু মুখ্য নয়। মোবাইলে অ্যালবাম প্রকাশের কারণ সময়ের সঙ্গে থেকে নতুনভাবে এগিয়ে যাওয়া আর কি!
বাংলানিউজ: ‘শক্তি’ থেকে শুরু করে প্রায় সব অ্যালবামেই সাফল্য পেয়েছেন। এর রহস্য আছে কোনো?
প্রিন্স মাহমুদ: কোনো রহস্য নেই। কাজ করে যাওয়ার কথা, কাজ করে যাচ্ছি। হয়তো শ্রোতাদের ভালো লাগছে বলে সফল হয়েছি। তবে আমার কাছে কোনো অ্যালবামকেই কমবেশি মনে হয় না।
বাংলানিউজ: চলচ্চিত্রের গানে আপনাকে সেভাবে পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে আপনার শ্রোতাদের আক্ষেপ আছে।
প্রিন্স মাহমুদ: আসলে সমস্যা হয়েছে কী, আমাকে চাপ দিলে কাজ হয় না। আমার ওপর যারা দায়িত্ব ছেড়ে দেন তাদের কাজ করতে পারি। কোনো ব্যাপার দিয়ে আমাকে বেঁধে দেওয়া যায় না। মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, অনিমেষ আইচ ও সালাহউদ্দিন লাভলুর ছবিতে কাজ করতে পেরেছি, কারণ তারা চাপ দেননি। লাভলু ভাইয়ের ছবিটা অবশ্য এখনও মুক্তি পায়নি।
বাংলাদেশ সময় : ১৩৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৫
এসও/জেএইচ