এবারের ঈদকে সামনে রেখে চারটি নাটক পরিচালনা করেছেন চয়নিকা চৌধুরী। এগুলো হলো ইমদাদুল হক মিলনের রচনায় ‘রেশমী’ (এফএস নাঈম, নাদিয়া আহমেদ), আবুল হায়াতের লেখা ‘পলাতক’ (সজল, মম), মাসুম রেজা রচিত ‘কান্তা পিয়ালের জোছনা যাপন’ (আনিসুর রহমান মিলন, স্বর্ণা) এবং আফফাত আরেফীন মাহমুদ তন্বীর রচনায় ‘শেষের পরে’।
মঙ্গলবার (২৮ জুন) সকালে ‘শেষের পরে’ নাটকের দৃশ্যধারণের ফাঁকে ঈদের নাটক ও নাট্যজগতের বিভিন্ন প্রসঙ্গে বাংলানিউজের সঙ্গে কথা বললেন চয়নিকা চৌধুরী।
বাংলানিউজ: ঈদে এতো কম কাজ করলেন যে?
চয়নিকা চৌধুরী: এখন দুটি ধারাবাহিক নাটকের কাজ নিয়ে খুব ব্যস্ত আছি। এগুলোর শুটিং থাকায় আলাদা করে ঈদের জন্য অতো কাজ করতে পারিনি। ধারাবাহিক দুটি হলো জাকারিয়া সৌখিনের রচনায় ‘স্বপ্নগুলো জোনাক পোঁকার মতো’ (এটিএন বাংলা)। এতে অভিনয় করছেন আনিসুর রহমান মিলন, তারিন, অপূর্ব, জাকিয়া বারী মম ও অনেকে। আরেকটি হলো নজরুল ইসলামের লেখা ‘অন্ধকারের গান’ একুশে টিভি)। এতে অভিনয় করেছেন তমালিকা কর্মকার, অপূর্ব, সুমাইয়া শিমু, শাহরিয়ার নাজিম জয়সহ অনেকে।
বাংলানিউজ: দর্শকমহলে নাটকের প্রতি আগ্রহ হারিয়েছে...
চয়নিকা: নাটকের কাজ আসলে নাটকের লোকদের হাতেই থাকা উচিত। যার যেই কাজ তাকেই সেটা করা উচিত। যারা নাটক বোঝেন ও ভালোবাসেন, তাদের কাছ থেকেই ভালো কাজ পাওয়া সম্ভব। দর্শকরা কিন্তু এখন ভালোমন্দ খুব ভালোভাবে বুঝতে পারে।
বাংলানিউজ: এখন তো তরুণ অনেক নির্মাতা আসছেন। নির্মাতা হিসেবে টিকে থাকার উপায় কী?
চয়নিকা: নাটকটাকে বুঝে নির্মাণ করতে হবে। বাস্তবিকতা ফুটিয়ে তুলতে হবে নাটকে। দর্শকদের ঠকিয়ে অযথা নাটক নির্মাণ করা থেকে বিরত থাকা উচিত। যারা ভালো করছেন তারাই টিকে থাকবেন। যারা যোগ্য তাদের অবশ্যই একটা আলাদা গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হয় সবার মাঝে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৯ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৬
জেএমএস/জেএইচ