সুরের সুধা পানে ডুব দিলেন দর্শক-শ্রোতারা। ঢাকা আন্তর্জাতিক লোকসংগীত উৎসবে ভাসলো তাদের মন।
গত ১০ নভেম্বর সন্ধ্যায় ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে তিন দিনব্যাপী এ আয়োজনের উদ্বোধন হয়। প্রতিদিন একই সময় থেকে রাত ১২টা অবধি লোকজ গানের পসরা হওয়ার কথা থাকলেও তা গড়িয়েছে রাত প্রায় তিনটা অবধি।
উৎসবে বাংলাদেশের শিল্পীদের মধ্যে ছিলো মমতাজ বেগম, আব্দুর রহমান বাউল, টুনটুন বাউল, লতিফ সরকার, সুনীল কর্মকার, ইসলাম উদ্দিন কিসসাকার, বারী সিদ্দিকী, বাউল শফি মন্ডল, ফরিদা ইয়াসমিন, বংশীবাদক জালাল, তাপস অ্যান্ড ফ্রেন্ডস ও লাবিক কামাল গৌরবের পরিবেশনা।
ভারতের পবন দাস বাউল, কৈলাশ খের, ইন্ডিয়ান ওশান, নুরান সিস্টার্স, রাজু দাস বাউল, যুক্তরাজ্যের সুশীলা রামান, স্যাম মিলস, সাইমন থ্যাকার্স সাভারা কান্তি, কানাডার প্রসাদ এবং পাকিস্তানের জাভেদ বশির মুগ্ধ করেছেন শ্রোতাদের।
তবে সবাইকে ছাপিয়ে আলাদাভাবে নজর কেড়েছে স্পেনের ফ্লামেনকো নাচের শিল্পী কারেন লুগো ও রিকোর্ডো মোরোর পরিবেশনা। উৎসবের দ্বিতীয় দিন ছিলো তাদের পরিবেশনা। ফ্লামেনকো খুব শক্তিশালী, জটিল, ছন্দময়, পূর্ণাঙ্গ ও আনন্দদায়ক নাচ। তারা মঞ্চে থাকার সময় দর্শকরা একপলকও চোখ ফেরাতে পারেননি।
এ উৎসবের আয়োজক ছিলো সান ইভেন্টস। রাত ১০টার পর স্টেডিয়ামে কারও ঢোকার অনুমতি রাখেননি তারা। সমাপনী দিনে রাত সাড়ে ১১টায় বেশকিছু তরুণ সারি বেঁধে দাঁড়িয়ে অনেক অনুরোধ জানালেও ব্যর্থ হন। একজন তো বলেই ফেললেন, ‘পবস দাস বাউলের গান শুনতে না পারলে সুইসাইড করবো!’ তাতেও কাজ হয়নি।
অবশ্য উৎসবের ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেল এবং মাছরাঙা টেলিভিশনে সব শিল্পীর পরিবেশনা সরাসরি উপভোগ করার সুযোগ ছিলো। ঢাকা আন্তর্জাতিক লোকসংগীত উৎসবের টাইটেল স্পন্সর ছিলো মেরিল।
বাংলাদেশ সময়: ০১৩২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৬
জেএইচ