ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তারার ফুল

‘পরিবারের সবাই ভাবতেন আমি হয়তো পারবো না’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩২ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৮
‘পরিবারের সবাই ভাবতেন আমি হয়তো পারবো না’ মিম মানতাশা

অভিনেত্রী মম, মিম ও মেহজাবিনদের দলে এবার যোগ দিয়েছেন মিম মানতাশা। তাদের মতো তিনিও এখন লাক্স সুপারস্টার। প্রতিযোগিতার নবম আসরের বিজয়ীর মুকুট পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এই তরুণী। শুক্রবার (১১ মে) রাতে জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে তার মাথায় সেরার মুকুট তুলে দেওয়া হয়।

শনিবার (১২ মে) বাংলানিউজের সঙ্গে কথা বলেন পাবনার মেয়ে মিম মানতাশা

বাংলানিউজ: লাক্স সুপারস্টার প্রতিযোগিতার বিজয়ী হলেন।

কেমন লাগছে?
মিম: অসাধারণ একটি অনুভূতি। যা কয়েকটি বাক্য দিয়ে প্রকাশ করা যাবে না। এটি অনেক বড় পাওয়া। সত্যিই আবেগ প্রকাশের শব্দ খুঁজে পাচ্ছি না।

বাংলানিউজ: এই সফলতাকে কিভাবে দেখছেন?
মিম:
সবকিছু স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে। সফলতাটাকে কিভাবে মূল্যায়ন করতে হবে সেটি হয়তো আমি এখন গুছিয়ে বলতে পারবো না। তবে আমার দায়িত্ব অনেক বেড়ে গেলো। পরিবারের সদস্য ও বন্ধুদের প্রত্যাশা পূরণ করাই এখন আমার প্রধান লক্ষ্য।  

বাংলানিউজ: আপনার এই অর্জন কাকে উৎসর্গ করবেন?
মিম:
আমার মাকে উৎসর্গ করবো।

সাবেক লাক্স সুপারস্টার বিদ্যা সিনহা মিমের হাত থেকে ফুল নিচ্ছেন মিম মানতাশাবাংলানিউজ: প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে পরিবারের সাপোর্ট পেয়েছেন?
মিম:
চার ভাই-বোনের মধ্যে আমি তৃতীয়। বড় দুই বোন ও বাবা-মা আমাকে নিয়ে খুব টেনশন করেন। আমি কখনো বাসার বাইরে থাকিনি। প্রতিযোগিতার কারণে আমাকে ক্যাম্পে থাকতে হয়েছে। এজন্য পরিবারের সদস্যরা শুরুতে আমাকে তেমন সাপোর্ট করতেন না। সবাই ভাবতেন আমি হয়তো পারবো না। তবে যখন প্রতিযোগিতার পর্বগুলো টিভিতে প্রচার শুরু হলো এবং বেশ কয়েকটি পর্বে আমি খুব ভালো পারফর্ম করলাম। তখন থেকে পরিবারের সবাই আমাকে সাপোর্ট করা শুরু করেন।  

বাংলানিউজ: আপনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার  শেষ বর্ষের ছাত্রী। প্রতিযোগিতায় এসে পড়াশোনার ক্ষতি হয়েছে?
মিম:
আসলে খুব বেশি সমস্যা হয়নি। প্রতিযোগিতার জন্য ক্যাম্পে থাকা অবস্থাতেও বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকটি পরীক্ষা দিয়েছি। তাছাড়া চূড়ান্ত পরীক্ষার আরও কিছুদিন বাকি আছে। তাই পড়াশোনা নিয়ে তেমন জটিলতায় পড়তে হয়নি। মিম মানতাশাবাংলানিউজ: শোবিজ নিয়ে বাইরের মানুষ ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুই ধরণের মন্তব্যই করেন। তবে প্রতিযোগিতায় আসার আগে শোবিজ নিয়ে আপনার ধারণা কেমন ছিলো?
মিম:
আমি চোখে না দেখলে কোনো কিছু বিশ্বাস করি না। তাই কে কী বললো সেটা কানে নেই না। আর আমি মনে করি জায়গা কখনো খারাপ হয় না। খারাপ হয় মানুষ। প্রতিটি সেক্টরেই ভালো অথবা খারাপ মানুষ রয়েছে। যেখানে আমি ভালো থাকবো সেখানে কেউ আমাকে খারাপ বানাতে পারবে না। আমি যদি ভালো থাকি তাহলে পৃথিবীর সব জায়গাই ভালো।

বাংলানিউজ: আপনার ছোটবেলা কোথায় কেটেছে?
মিম:
আমার বাবা ওয়াসার অবসরপ্রাপ্ত একজন কর্মকর্তা। তার চাকরির জন্য আমাদের নানা সময় নানা জায়গায় যেতে হতো। তবে আমার স্কুল ও কলেজ জীবন কেটেছে পাবনায়। পাবনা শহরের আদর্শ গার্লস হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিক ও পাবনা সরকারি মহিলা কলেজ থেকে আমি উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছি। বর্তমানে পরিবারের সঙ্গে ঢাকার মোহাম্মদপুরে থাকি।

বাংলানিউজ: চলচ্চিত্রে কাজ করার ইচ্ছে আছে?
মিম:
আপাতত না। চলচ্চিত্র অনেক বড় প্রজেক্ট। আমি এখনও অভিনয়ে পরিপক্ব না। তাই নাটক বা অন্য সেক্টরগুলোতে কাজ করে আগে নিজেকে দক্ষ করতে চাই। এরপর সুযোগ হলে চলচ্চিত্রে কাজ করবো।

সামিয়া অথৈ,  মিম মানতাশা ও সারওয়াত আজাদ বৃষ্টি বাংলানিউজ: আপনার পছন্দের অভিনেতা ও অভিনেত্রী কে?
মিম:
দেশের বাইরে উইল স্মিথ ও প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। আর দেশী অভিনেতাদের মধ্যে নায়করাজ রাজ্জাক ও তাহসান। আর অভিনেত্রীদের মধ্যে সুবর্ণা মোস্তফা ও তিশা।

বাংলানিউজ: ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
মিম:
মিডিয়াতে ভালো কিছু কাজ করবো। যেটাই করবো অনেক মন দিয়ে করবো। পড়াশোনার চালিয়ে যাবো। যেহেতু আমি একজন চিত্রশিল্পী তাই রঙ তুলি নিয়েও ব্যস্ত থাকতে চাই।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৬ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৮
জেআইএম/বিএসকে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

তারার ফুল এর সর্বশেষ