এবার অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের মধ্যদিয়ে আবারও স্বরুপে ফিরেছেন কিংবদন্তি এই দুই তারকা।
২০০৩ থেকে উত্থানের পর থেকে ২০১৪ পর্যন্ত বছরের চারটি গ্র্যান্ডস্ল্যামের কোনো একটি ফেদেরার অথবা নাদালের ঘরে গেছে।
অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে ফেদেরার এখন পর্যন্ত চারটি শিরোপা জিতেছেন। তবে নাদালের ঘরে গেছে একটি ট্রফি। নাদালের সেই শিরোপা জয়টা এসেছিল ফেদেরারের বিপক্ষেই।
আগামীকাল ফাইনালের মধ্যদিয়ে শেষ হবে এবারের অস্ট্রেলিয়ান ওপেন। যেখানে টেনিস বিশ্ব আবারও ফেদেরার-নাদাল দ্বৈরথ এ ক্ল্যাসিকাল একটি ম্যাচই আশা করছে। যদিও এখন পর্যন্ত ১৭টি গ্র্যান্ডস্ল্যাম জয়ী ফেরেদারের বিপক্ষে ১৪টি গ্র্যান্ডস্ল্যাম জয়ী নাদালের রেকর্ড দুর্দান্ত। তবে রেকর্ড ভালো থাকলেও নাদাল ভাবছেন অন্যকিছু, ‘যতই ফেদেরারের সঙ্গে দ্বৈরথে রেকর্ড পক্ষে থাকুক, সে সব এখন অতীত। মিথ্যা বলব না। এটা দুর্দান্ত একটা অনুভূতি। আশা করব ফাইনালটার জন্য আমি তৈরি থাকতে পারব আর খুব ভালো একটা ম্যাচ খেলতে পারব। ’
সংবাদ সম্মেলনে নাদালকে জিজ্ঞেস করা হয়, অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে তিনবার আপনি ফেদেরারকে হারিয়েছেন। সব মিলিয়ে দু’জনের সাক্ষাতের ফলাফলেও আপনি এগিয়ে। এটা কি রোববারের ম্যাচে আপনাকে বাড়তি সুবিধা দিচ্ছে না? নাদাল জানান, ‘যে রেকর্ডের কথা আপনারা বলছেন, সেগুলো অনেককাল আগের কথা। এটা অন্য ম্যাচ, নতুন ম্যাচ। আমার মনে হয় অতীতের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা হবে এই ফাইনাল। ’
ফেদেরারের সঙ্গে এই ফাইনাল ‘স্পেশাল’ বলেও জানালেন নাদাল, ‘আমরা দু’জনেই গ্র্যান্ডস্ল্যামের ফাইনালে পৌঁছাতে পারছিলাম না অনেকদিন ধরে। তাই এই ম্যাচটা আমাদের দু’জনের কাছেই বিশেষ অনুভূতির হতে যাচ্ছে। তবে আমি অতীত নিয়ে পড়ে থাকি না। আগে কে জিতেছে, সে সব অপ্রাসঙ্গিক। ,
দু’জনের মধ্যে ৩৪টি ম্যাচের মধ্যে ২১টি ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে নাদাল ২৩-১১ ব্যবধানে এগিয়ে। শেষবার ফাইনালে সাক্ষাৎ ফ্রেঞ্চ ওপেনে ২০১১ সালে। নাদালই জিতেছিলেন। ফেদেরারের সঙ্গে দ্বৈরথ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে নাদাল বললেন, ‘আমার কাছে খুব বড় একটা প্রাপ্তি এই দ্বৈরথ। আমার মনে হয় টেনিস ভক্তদের কাছেও একটা বড় বিনোদন। শুধু টেনিস নয়, অন্য জগতের লোকেরাও এই দ্বৈরথ নিয়ে কথা বলেন। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৩ ঘণ্টা, ২৮ জানুয়ারি, ২০১৭
এমএমএস