কক্সবাজার: টানা তিনদিনের ছুটিতে পর্যটকে মুখরিত হয়ে উঠেছে বিশ্বের দীর্ঘতম কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল থেকে কক্সবাজার আসতে শুরু করেছেন পর্যটকরা।
শুক্র ও শনিবার সপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে যোগ হয়েছে বড়দিন। এ তিনদিনের ছুটিতে কক্সবাজারে পাঁচ লাখ পযর্টকের সমাগম হবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
সমুদ্র সৈকতে গিয়ে দেখা গেছে, শুক্রবার সকাল থেকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্ট থেকে কলাতলী পয়েন্ট পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে দেখা গেছে পর্যটকের উপচেপড়া ভিড়। এসব পর্যটকরা শীতের মিষ্টি রোদে বালিয়াড়িতে ছোটাছুটি আবার কেউবা সমুদ্রের লোনা জলে গা ভাসাচ্ছেন। ইট-পাথরের শহর থেকে বেরিয়ে পরিবার নিয়ে উন্মুক্ত একটা পরিবেশে এসে খুব ভালোই সময় কাটাচ্ছেন তারা।
টাঙ্গাইল থেকে আসা পর্যটক সাদিক হোসেন বলেন, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের নাম শুনলেই ভালো লাগে। আর এখানে এসে সমুদ্রের লোনা জলে স্নানের আনন্দ কেমন সেটা ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না।
দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত ছাড়াও কক্সবাজারে এখন অনেক পর্যটন স্পট। যেসব জায়গায় গেলে মন ভালো হয়ে যায়। এমন মন্তব্য ঢাকা থেকে আসা সুমিতা রায়ের (২৭)।
তিনি বলেন, পরিবারের সঙ্গে এসেছি। সবাই খুব মজা করছে। বরাবরের মতোই প্রকৃতির টানেই আমাদের কক্সবাজার চলে আসা।
সৈকতে দায়িত্বপ্রাপ্ত সি সেইফ লাইফ গার্ডের কর্মী জয়নাল আবেদীন ভুট্টো জানান, সমুদ্র পাড়ে সকাল থেকে বেড়েছে মানুষের উপস্থিতি। বাড়তি পর্যটকের চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে লাইফগার্ড সদস্যরা।
সৈকতে নিরাপত্তা নিয়ে ঘাটতি নেই। সমুদ্রে গোসলে করতে গিয়ে যাতে কোনো দুর্ঘটনায় পড়তে না হয় সে বিষয়ে কঠোর নজরদারি রয়েছে বলে জানান তিনি।
বৃহত্তর বিচ ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি আবদুর রহমান জানিয়েছেন, কক্সবাজারে পাঁচ শতাধিক আবাসিক হোটেলের রুম ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নব্বই শতাংশ বুকিং হয়ে গেছে। এ হিসেবে এখন কক্সবাজারে দেড় লাখের অধিক পর্যটক অবস্থান করছে। এর বাইরে অতিরিক্ত কিছু পর্যটক এসেছে। যারা রুম পেতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক গাজী মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, স্বাভাবিকভাবে বিপুল সংখ্যক পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমণে এসেছেন। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ টহল বাড়িয়েছে। পোশাকধারীর পাশাপাশি সাদা পোশাকে নজরধারি করা হচ্ছে।
পর্যটকদের কাছ থেকে কোনো অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেলের ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ বাংলানিউজকে জানান, পর্যটক হয়রানি রোধ এবং পর্যটকদের নিরাপত্তায় মাঠে রয়েছে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে একাধিক টিম। এছাড়া পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশের সঙ্গে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০২২
এসবি/আরবি