পটুয়াখালী: টেকসই উপকূলীয় ও সমুদ্রভিত্তিক পর্যটন বিকাশে ব্লু ট্যুরিজম মাস্টার প্ল্যানের আওতায় এসেছে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা, সোনারচর ও এর আশপাশের চরগুলো।
বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের উদ্যোগে গৃহীত মাস্টার প্ল্যানে বাস্তবায়নের মাধ্যমে পরিবেশ, নদী, সমুদ্র ও জীববৈচিত্র্যসহ সকল প্রাণ ও প্রকৃতি টিকিয়ে রেখে পর্যটনের বিকাশ করা হবে।
শনিবার (২৭ মে) সকালে কুয়াকাটা হোটেল গ্রেভার ইনের কনফারেন্স রুমে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের এক কর্মশালায় বক্তারা এ তথ্য জানান।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, পর্যটন কেন্দ্রের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পর্যটকদের জন্য নিরাপদ চলাচল ও পানি, নিরাপত্তা, স্থানীয় যাতায়াত এবং মানসম্পন্ন খাবার ও আবাসনের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হবে।
ব্লু ট্যুরিজমের পর্যটন কেন্দ্রের আওতায় সমুদ্র এলাকায় সব ধরনের মাছ শিকার বন্ধসহ জলজও উদ্ভিদের জন্য অভয়ারণ্য করার আহ্বান জানান তারা।
এছাড়াও উপকূলীয় ও সমুদ্র কেন্দ্র পর্যটন বিকাশে কুয়াকাটায় স্থানীয় চাহিদা ও জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক চাহিদা মাথায় রেখে পরিকল্পিত সমন্বিত টেকসই অবকাঠামো ও জনসম্পদ উন্নয়নে সম্মিলিত পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানানো হয়।
বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের উপ সহকারী পরিচালক মো. মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের ডিন অধ্যাপক ড. মো. লোকমান আলী।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মিসেস সামশাদ নওরিন, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন ৪৮ নদী সমীক্ষা প্রকল্পের সাবেক পরিবেশ ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞ মনির হোসেন চৌধুরী, রিভার অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল গাজী।
কর্মশালায় বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের উপ পরিচালক মো. সাইফুল হাসানের উপস্থাপনায় মূল প্রবন্ধের ওপর ব্লু ট্যুরিজমের সমুদ্রভিত্তিক পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা সৈকত ও সোনারচরের টেকসই উন্নয়ন এবং বিকাশের ওপর নানান ধরনের পরামর্শ গ্রহণ করা হয়েছে।
এসময় হোটেল মোটেল ও রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি, ট্যুর গাইড ও অপারেটর, অ্যাসোসিয়েশন, ফটো ও স্থানীয় যানবাহনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা, পর্যটন কেন্দ্রিক ব্যবসায়ী ও গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০২৩
এসএএইচ