রাজশাহী: রাজশাহীর ইন্ডিয়ান ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারে (আইভ্যাক) গেল অক্টোবর থেকে আবেদন জমা দেওয়ার ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই চিকিৎসা ভিসা মিলছে। এছাড়া নভেম্বর থেকে একই সময়ের মধ্যে মিলবে ট্যুরিস্ট ভিসাও।
তাই সুযোগটি কাজে লাগাতে রাজশাহী আইভ্যাক সেন্টারের অধিভুক্ত এলাকার বাইরের লোকজনও এখন সেখানে গিয়ে ভিসা আবেদন জমা দিচ্ছেন। তবে এই সেন্টারের অধিভুক্ত এলাকার বাইরের ভিসা আবেদন কোনোভাবেই গ্রহণ করা হবে না। কেউ আবেদন করলেও তা বাতিল হবে বলে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) দুপুরে রাজশাহী মহানগরীর বর্ণালি মোড়ের আইভ্যাকে আয়োজিত এক সংক্ষিপ্ত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এই কথা জানান ভারতের সহকারী হাইকমিশনার মনোজ কুমার।
ভারতের সহকারী হাইকমিশনার বলেন, সম্প্রতি ভারতের মেডিকেল ভিসা সহজিকরণ করেছে রাজশাহীস্থ সহকারী হাইকমিশন। এর ফলে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ১৬ জেলা ছাড়াও এর আওতাধীন কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর জেলার ভিসাপ্রার্থীরা অনধিক তিনদিনের মধ্যেই ভারতের মেডিকেল ভিসা পাচ্ছেন। ফলে তারা দ্রুত সময়ে ভারতে গিয়ে কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসা নিতে পারছেন। তবে এক্ষেত্রে কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিরও উদ্ভব হয়েছে। অনেকেই রাজশাহীর স্থানীয় ঠিকানা ব্যবহার করে রাজশাহী আইভ্যাক সেন্টারে আবেদন করছেন। অথচ তারা ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনের অধিভুক্ত এলাকার বাইরের।
তাই এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক করেছেন, রাজশাহীস্থ ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার মনোজ কুমার।
মনোজ কুমার বলেন, ভিসা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে স্মরণকালের মধ্যে সর্বোচ্চ সময় কমিয়ে আনা হয়েছে রাজশাহী আইভ্যাক সেন্টারে। রাজশাহীর এই সেন্টারে আবেদনের দুই তিন দিনের মধ্যেই মেডিকেল ভিসা প্রদান করা হচ্ছে। যাতে অসুস্থ রোগীরা চিকিৎসার জন্য দ্রুত সময়ে ভারতে যেতে পারেন। এই বিশেষ ভিসা সুবিধা চালু করায় দ্রুত সময়ে ভিসা পেয়ে উপকৃত হচ্ছেন অনেক মানুষ। প্রদত্ত এ বিশেষ সুবিধা শুধু রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের জেলাগুলোর বাসিন্দাদের জন্য। এছাড়াও কুষ্টিয়া, মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার বাসিন্দারাও পাচ্ছেন। কিন্তু এমন অনেক ভিসা আবেদন ইতোমধ্যে রাজশাহী ভিসা আবেদন সেন্টারে শনাক্ত হয়েছে; যারা তাদের অধিভুক্ত এলাকার বাইরের বাসিন্দা। আবেদন পাওয়ার পর যাচাই-বাছাইকালে অনেকের স্থানীয় ঠিকানা প্রমাণিত হচ্ছে না। এর কারণে এমন আবেদনকারীদের ভিসা আবেদন গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে না। এতে আইভ্যাক সেন্টারে সময় ও সুযোগ দুটোরই অপচয় হচ্ছে। এর পাশাপাশি এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ভিসা আবেদন আসায় প্রকৃত সেবাগ্রহীতাদের সেবা দিতেও সমস্যা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, রাজশাহীস্থ ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনের অধিভুক্ত এলাকার বাইরের জেলার বাসিন্দাদের ভিসা আবেদন ‘রাজশাহী’ হিসেবে বিবেচনার জন্য কোনো সুযোগ নেই। এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ভিসা আবেদন না করার জন্য সংশ্লিষ্টদের সতর্ক ও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিই।
এছাড়া ভিসার অপব্যবহার রোধে সহকারী হাইকমিশনও সতর্ক আছেন বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, রাজশাহী আইভ্যাক সেন্টারে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে প্রতিদিন গড়ে প্রায় দেড় হাজার ভিসা আবেদনপত্র জমা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০২৩
এসএস/এসএএইচ