ঢাকা: পর্যটন একটি প্রাইভেট সেক্টর নির্ভর বিজনেস। সারা পৃথিবীতে প্রাইভেট সেক্টরই এই শিল্পকে এগিয়ে নিয়েছে।
শনিবার (৯ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ‘বাংলাদেশ মিটিং ইনসেনটিভ কনফারেন্স অ্যান্ড এক্সিভিশন (এমআইসিই বা মাইস)’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
ভ্রমণ বিষয়ক পাক্ষিক দ্য বাংলাদেশ মনিটর আয়োজিত চার দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলা উপলক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
পর্যটন খাতের ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে আব্দুল মাতলুব আহমাদ বলেন, পর্যটন হলো একটি প্রাইভেট সেক্টর নির্ভর বিজনেস। সারা পৃথিবীতে প্রাইভেট খাতের মাধ্যমেই পর্যটন শিল্প এগিয়ে গেছে। একমাত্র বাংলাদেশে এর ভিন্নতা দেখা যায়। আপনারা এগিয়ে যান, যতো রকম সহযোগিতা প্রয়োজন করা হবে। হোটেল-মোটেল নির্মাণ করুন, সবকিছুতে শুল্কমুক্ত করে আনার ব্যবস্থা করা হবে।
তিনি বলেন, পর্যটন নিয়ে আমাদের নীতি দরকার। ২০১৬ সালকে পর্যটন বর্ষ ঘোষণা করা হয়েছে। এ বিষয়ে সরকারের ওপর নির্ভর করে থাকলে হবে না। আমরাই আমাদের পথ ও ভবিষৎ গড়ে তুলতে পারবো। দরকার নিজেদের মধ্যে সমন্বয়।
আব্দুল মাতলুব আরও বলেন, বাংলাদেশে পর্যটন শিল্পে মাইস নিয়ে কাজ হচ্ছে, তবে তা অসাংগঠনিকভাবে ও আইন ছাড়া করা হচ্ছে। এটিকে আমরা একটি কাঠামোর মধ্যে আনতে পারছি না। মাইস ট্যুরিজমের জন্য এ খাত সংশ্লিষ্টদের এগিয়ে আসতে হবে। নিজেদেরই একটি বড় কনভেনশন সেন্টার করতে হবে। আপনারা প্রজেক্ট দিন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব করা হবে।
ট্যুরিজম খাতের ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা যারা ট্যুরিজম বোঝেন, তারা এক হয়ে নিজেদের লক্ষ্য ও গন্তব্য ঠিক করেন। আগামী পাঁচ বছরে আমরা কতোজন ট্যুরিস্ট আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করবো, সেটা নিয়ে ভাবতে হবে।
দেশে ট্যুরিজম ওয়ান-টু লেভেলে আছে মন্তব্য করে ব্যবসায়ীদের এই নেতা বলেন, বাংলাদেশ যেভাবেই হোক এগিয়ে যাচ্ছে। আপনাদের (ট্যুর অপারেটর) সরকারের দিকে তাকিয়ে থাকার কোনো প্রয়োজন নেই। আমাদের মনে বসে গেছে যে, সরকারের কাছ থেকে না আনলে কিছু হবে না। সরকারের কাছ থেকে কোনো কিছু আনার চিন্তা ভুলে গিয়ে নিজেদের উদ্যোগে এগিয়ে যেতে হবে।
বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্স’র সাবেক পরিচালক ও চেয়ারম্যান টাইগার ট্যুরস’র প্রধান আব্দুল মঈত চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে অবকাঠামো তৈরি করে মাইস ট্যুরিজম নিয়ে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু বড় সমস্যা হলো বাংলাদেশের ভিসা পাওয়ার জটিলতা। এজন্য আমাদের ভিসা সহজীকরণের জন্য প্রথমে পদক্ষেপ নিতে হবে।
ট্যুরিজমে রাজধানীর যানজট প্রভাব ফেলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার এজন্য যে পদক্ষেপ নিয়েছে, আশা করা যায় ৩/৪ বছরের মধ্যে এর অবসান হবে।
ট্যুরিজম খাত থেকে সরকারকে রাজস্ব পাওয়ার জন্য চেষ্টা করা দরকার, এক্ষেত্রে এফবিসিসিআই’য়ের সহযোগিতা দরকার বলে মনে করেন তিনি।
মনিটর’র সম্পাদক কাজী ওয়াহিদুল আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- পর্যটন বিচিত্রার সম্পাদক ফরিদুল আলম, ট্যুর অপারেটর গোলাম কাদের, শওকত হোসেন প্রমুখ। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন- দ্য বাংলাদেশ মনিটর’র প্রধান সম্পাদক রকিব সিদ্দিকী।
বাংলাদেশ সময়: ২৩১৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০১৬
টিএইচ/আরএম/কেআরএম