ঢাকা: মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, মিশর, সিঙ্গাপুর, ভুটান, নেপালসহ বিদেশি পযর্টন শিল্প খাত নিয়ে মাতামাতি করছে দেশীয় ট্যুর অপারেটরগুলো। সেই তুলনায় উপেক্ষিত দেশি পর্যটন স্থান কক্সবাজার, রাঙামাটি ও সুন্দরবন।
যেমন অ্যামেজিং ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেল এজেন্সি বাংলাদেশ ছাড়া বিশ্বের অধিকাংশ দেশের পর্যটন শিল্পকে আকৃষ্ট করতে নানা ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে। শুধু অ্যামেজিং ট্যুরই নয়, অধিকাংশ দেশি ট্যুর অপারেটরও ব্যস্ত বিদেশি পর্যটন খাতকে উপস্থাপন করতে।
নগরীর সোনারগাঁও হোটেলে চার দিনব্যাপী ‘ট্রাভেল মার্ট-২০১৬’ এর শেষ দিনে সোমবার (১১ এপ্রিল) এ চিত্র দেখা গেছে।
মেলায় দেখা গেছে, বিদেশি পর্যটন শিল্পকে পরিচয় করে দেওয়া স্টলগুলো অনেক জাকজমকপূর্ণ। সেই হিসেবে দেশীয় পর্যটন শিল্পকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া স্টলগুলো যেন চোখেই পড়ে না।
মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডের পর্যটন শিল্পকে দর্শনার্থীদের সামনে নান্দনিকভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। বিশাল স্ক্রিনের মাধ্যমে সেসব দেশের দর্শনীয় স্থানগুলো উপস্থাপন করা হচ্ছে। স্টলগুলোও চোখে পড়ার মতো।
কুয়ালালামপুর ও ব্যাংকককে যেভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে সেভাবে উপস্থাপন করা হয়নি সুন্দরবন ও কক্সবাজারকে।
ধানমণ্ডির জিগাতলা থেকে মেলায় আসা দর্শনার্থী জাফর আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, ‘মেলায় যেভাবে বিদেশি পযর্টন খাতের প্রচার করা হচ্ছে সেভাবে আমাদের দেশের খাত প্রচার পাচ্ছে না। ব্যাংকক ও কুয়ালামপুরের বিষয়ে সহজেই তথ্য জানতে পারছি। কিন্তু কিভাবে আমাদের দেশের দর্শনীয় স্থানে যাবো, সেই তথ্য সহজে পাচ্ছি না’।
চার দিনব্যাপী মেলার শেষ দিনে দর্শনার্থীর উপস্থিতিও ছিল কম। স্টলগুলো থেকে জানানো হয়, অফিস-আদালত খোলা থাকা ও প্রচণ্ড গরমের কারণে দর্শনার্থী কম। তবে শুক্রবার ও শনিবার পর্যাপ্ত দর্শক হয়েছিল।
ট্যুরিস্ট পুলিশের সার্জেন্ট চন্দন কুমার সিংহ বাংলানিউজকে বলেন, ‘সরকারি ছুটি না থাকা ও প্রচণ্ড গরমের কারণে শেষ দিনে দর্শনার্থী কম। তবে শুক্রবার ও শনিবার প্রচণ্ড ভিড় হয়েছিল’।
বাংলাদেশ সময়: ২২১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৬
এমআইএস/এএসআর