কুড়িগ্রাম থেকে: রাজধানী ঢাকা থেকে উত্তর বঙ্গের অন্যতম জেলা কুড়িগ্রামে আসা-যাওয়ার মাধ্যম কেবল বাস! এসি-নন এসি বিভিন্ন ধরনের বাস চলাচল করে ঢাকা-কুড়িগ্রাম রুটে। ঢাকা-কুড়িগ্রাম-উলিপুর রুটে চলে নাবিল পরিবহনের একটি এসি বাস।
তবে উত্তর বঙ্গের অন্যান্য জেলায় বেশ নাম কুড়ালেও কুড়িগ্রাম রুটে চলাচলকারী বাসটির সেবা নিয়ে খুব একটা সন্তুষ্ট নন যাত্রীরা। অব্যস্থাপনাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে তাদের। এমনকি সেবার মান নিয়েও অসন্তুষ্ট তারা।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, নামেই শুধু এসি বাস। সেবার ধারে কাছেই নেই এ পরিবহন। বাসের ভেতরে উৎকট গন্ধে বমি হওয়ার মতো অবস্থা। কম্বলও নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না। বিষয়টি বারবার অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি।
আনোয়ার হোসেন, বাড়ি নোয়াখালীর মাইজদি হলেও কুড়িগ্রামে প্রায় দেড় যুগ ধরে ব্যবসা করছেন। স্ত্রীকে নিয়ে নোয়াখালী থেকে কুড়িগ্রামে ফিরছেন তিনি। এ বাসে ভ্রমণে তার অভিজ্ঞতা বণর্না করলেন এভাবে, এ রুটে এটাই সবচেয়ে ভালো বাস। উৎকট গন্ধ নিয়েই যাত্রীদের চলাচল করতে হয়। অন্যান্য বাসের অবস্থা আরও খারাপ। তবে যাত্রীদের নালিশ নেই খুব একটা। তারা নিজেদের খাপ খাইয়ে নিয়েছে এর সঙ্গে।
‘বিভিন্ন সময় ঢাকা থেকে যারা আসা-যাওয়া করেন, তারা এ নিয়ে অভিযোগ করেন। কিন্তু কোনো কাজ হয় না। গন্ধে নাড়িভুড়ি বেরিয়ে আসতে চায়, এরপরও বাধ্য হয়েই যাত্রীরা চলাচল করেন এ বাসে,’ তার সঙ্গে যোগ করলেন পাশের আসনের যাত্রী হালিমুল হক।
নাবিলের এসি বাসে ভ্রমণ করে দেখা যায়, ৩৬ আসনের নাবিল পরিবহনের এসি বাসে যাত্রীও আছে সব আসনে। ঢাকা থেকে কুড়িগ্রাম হয়ে উলিপুরের ভাড়া ৮০০ টাকা। প্রতিদিনই আসাদ গেট থেকে এ রুটে রাত ১০টায় ছেড়ে আসে বাসটি।
যাত্রীদের অভিযোগ, এ রুটে কোনো লস নেই। প্রতিদিনই বাসের আসন পূর্ণ থাকে। কিন্তু আসনগুলোর পরিসর খুবই ছোট। আর ভেতরে যে চলাচলের জায়গা আছে তাও অত্যন্ত সংকীর্ণ। আসা-যাওয়া করলে একজনের সঙ্গে আরেকজনের ধাক্কা লাগে। এ নিয়ে বাকবিতণ্ডাও সৃষ্টি হয় অহরহ।
বিষয়টি স্বীকার করলেও কিছু করার নেই বলেই দায় সারলেন বাসের সুপারভাইজার শিবলী সাদিক আঙ্গুর। বাংলানিউজকে বলেন, এ রুটে আমাদেরটাই এসি। নিয়মিত পরিষ্কারও করা হয়। কিন্তু মাঝে-মাঝে একটু সমস্যার সৃষ্টি হয়। তবে যাত্রীরা তা মানিয়ে নেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০১৬