বনপ্রপাত (বান্দরবান) ঘুরে: নীলাচল, মেঘলা, নীলগিরি, চিম্বুক পাহাড়, শৈলপ্রপাতসহ বান্দরবানের অপূর্ব সব পর্যটন স্পটের আড়ালে হারিয়ে গিয়েছিল বান্দরবান জেলা প্রশাসনের উদ্দ্যোগে ১৯৯১ সালে নির্মিত পর্যটন কেন্দ্র বনপ্রপাত।
অযত্ন অবহেলায় এর স্থাপনাগুলো ভেঙ্গে যায়।
তিনি বলেন, গত রোযার ঈদের কদিন আগে এর ভগ্নপ্রায় একটি স্থাপনা চোখে পড়লে থমকে দাঁড়ায়। কৌতুহল নিয়ে স্থাপনাটির কাছে গিয়ে দেখি এর পাশ দিয়ে সোজা নিচে নেমে গেছে একটি সিঁড়ি। সিঁড়ির নীচে একটি ভগ্ন ছাতা। পাশেই আরেকটি সিঁড়ি। এটি দিয়ে সোজা প্রপাতে নেমে যাওয়া যায়। সিঁড়ির মুখে একটি লোহার গেটের উপরে লেখা বনপ্রপাত। মুজাহিদ আরও বলেন, শহর থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে শৈলপ্রপাত ও ৩ কিলোমিটার দূরে বনপ্রপাতের ডিজাইন প্রায় একই। তৎকালীন বান্দরবানের জেলা প্রশাসক আতাউর রহমান মজুমদার এ দুটি পর্যটন উপযোগী করে গড়ে তোলেন। তিনি সিঁড়ির দু’পাশের সারিবদ্ধভাবে মেহগণি গাছ লাগান। ভিউ পয়েন্ট স্থানে সেগুন গাছ ও পাহাড়ের নীচু অংশে দুটি সিভিট গাছ লাগান।
বান্দরবানের বর্তমান জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক সম্প্রতি প্রপাতটি সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছেন। সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, প্রপাতটির সংস্কার ও আধুনিকীকরন কাজ শুরু হয়েছে। সিঁড়িটি প্রশস্ত করা হয়েছে। এর অনেক স্থানে কংক্রিটের ঢালাই দেওয়া হয়েছে। সিঁড়ির পাশ দিয়ে বৃষ্টির পানি নীচে নামার জন্য ড্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অপরিকল্পিত ডালপালা কেটে প্রপাতটি দৃশ্যমান করা হয়েছে। অপ্রয়োজনীয় বুনো গাছ-পালা কেটে পাহাড়ের ঢাল পরিষ্কার করা হয়েছে।
এনডিসি মুজাহিদ বলেন, জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিকের তত্বাবধানে সিঁড়ি দুটি সংস্কার করে তাতে আধুনিক পার্কিং টাইলস বসানো হবে। একাধিক ভিউ পয়েন্ট নির্মান করা হবে। বিশ্রাম, ছবি তোলা ও নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় নিয়ে ভিউ পয়েন্টগুলো নীলাচলের আদলে গড়ে তোলা হবে। তিনি আরও বলেন, প্রপাতটির পার্শ্ববর্তী পাহাড়টির চূড়া সমতল। ভবিষয়ে রাস্তার সাথে পাহাড়টির সংযোগ সেতু স্থাপন করে পাহাড়টির চূড়া নীলাচলের মতো দৃষ্টিনন্দন করে গড়ে তোলা হবে। তখন বান্দরবানে পর্যটকদের নতুন গন্তব্য হবে বনপ্রপাত।
** সাজেকের সূর্য ঘড়ি
** নয়নাভিরাম খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ পার্ক
** জার্নি টু সাজেক
** সর্পিল পথের বাঁকে বাঁকে ভয়ঙ্কর সৌন্দর্য
** ‘ধরলে বলবেন পর্যটক’
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৬
এমআই/এসআই