তিনি বলেছেন, ‘আমরা নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করেছি’।
রোববার (০৮ জানুয়ারি) বিকেলে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের (বিটিবি) কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
পর্যটনমন্ত্রী বলেন, এ মুহূর্তে বিদেশি পর্যটক আমাদের প্রধান লক্ষ্য নয়। আমরা চাইছি দেশি পর্যটকরাই ভিজিট করুক।
মেনন বলেন, গুলশানে হলি আর্টিজানের ঘটনার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বেশ কিছু দেশ তাদের ট্যুরিস্টদের ওপর রেড অ্যালার্ট জারি করে। যা এখনও বহাল। আবার বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে তাদের নাগরিকদের ভিড়ের মধ্যে যেতে নিষেধ করেছেন। তাই কুয়াকাটা বিচ কার্নিভালে বিদেশি পর্যটক প্রত্যাশা যৌক্তিক হবে না।
তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি আমাদের দূতাবাসের মাধ্যমে তাদের তথ্য দিতে যে আমাদের এখানে নিরাপত্তা কোনো সমস্যা না। আমাদের এ প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আমরা কুয়াকাটা মেগাবিচ কার্নিভাল উপলক্ষে ট্যুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি অতিরিক্ত পুলিশের ব্যবস্থা করেছি।
মন্ত্রী বলেন, পর্যটন এখন শুধু বিলাসিতা নয় বা কেবলমাত্র বেড়ানোর ব্যাপার নয়। এটা এখন মানুষের মাঝে উদ্ভাবনী ভাবনা এনে দিয়েছে। উদাহরণ হিসেবে মন্ত্রী বলেন, সাতক্ষীরার শ্যামনগরের ইউএনও উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনা করেছেন, তিনি চিন্তা করেছেন যেহেতু পরিবেশের কারণে সুন্দরবনের ওপর অনেক বাধা আছে। তাই কিভাবে ওই অঞ্চলের লোককে আরও বেশি কাজে লাগানো যায়।
কুয়াকাটার যোগাযোগ ব্যবস্থা এখন অনেক ভালো মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, কুয়াকাটার যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক ভালো। এখন সেখানে সরাসরি গাড়ি নিয়ে চলে যাওয়া যায়। এমনকি বরিশালে বিমানের ফ্লাইট চালু হয়েছে। কাজেই কুয়াকাটায় যাতায়াত ব্যবস্থা আগের চাইতে অনেক ভালো।
আগামী ১৪ জানুয়ারি শুরু হয়ে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী এ মেগাবিচ কার্নিভালে থাকছে নানা আয়োজন। সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আখতারু-জামান খান কবির মেগাবিচ কার্নিভালের বিস্তারিত তুলে ধরেন।
এবার মেগাবিচ কার্নিভালে থাকছে বিচ ফুটবল, বিচ ক্রিকেট, হা-ডু-ডু, ভলিবল, ঘুড়ি উৎসবসহ নানা খেলা। এছাড়াও থাকছে স্থানীয় ঐতিহ্যবাহী খাদ্য উৎসব ও ওয়াটার বাইক।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৭
এসএম/জেডএস