বরিশাল সদর থেকে সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটার এই পথটা একশো কিলোমিটারের।
বরিশাল সদর হয়ে পটুয়াখালী সদর উপজেলার পথ ৩০ কিলোমিটারের একটু বেশি।
কুয়াকাটা যেতে অন্তত পাঁচটি ফেরি ঘাট পার হতে হতো কয়েক বছর আগে। এখন মাত্র একটি ফেরি ঘাট, বাকেরগঞ্জের পায়রা নদীতে এই লেবুখালী ফেরি ঘাটে এগিয়ে চলছে সেতু তৈরির কাজ। আর ফেরি ঘাটে সকালে দেখা গেলো না যানজটও।
ছোট-বড় আরও কয়েকটি সেতু পেরিয়ে এক ঘণ্টার পথের পর পটুয়াখালী সদরের বড় চৌরাস্তা। টাউন কালিকাপুর নামেও এর পরিচিতি। খানিকটা সময় কাটানোর মতো স্থান এই বড় চৌরাস্তা। চৌরাস্তা এলাকা থেকে যাওয়া যাবে যেকোনো এলাকায়, রয়েছে বাসের ব্যবস্থাও। আমাদের গন্তব্য কুয়াকাটার পথেই।
গাড়ি চলছে মেগা বিচ কার্নিভালের উদ্দেশ্যে, যাত্রাও সুখকর। বরগুনার আমতলীর চৌরাস্তা মোড়টি কেবল খানখন্দে ভরা। বরগুনা জেলার শেষ সীমানার পর ভালো ছিলো না পথের চিত্র। কলাপাড়া উপজেলার পথটিরও একই চিত্র।
তবে কুয়াকাটার পথে শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শেখ রাসেল সেতুর আগে-পেছনে মসৃণ ছিলো পথ।
পটুয়াখালীর কলাপাড়ার রাস্তার যাত্রা ছিলো না সুখকর। পিচ ঢালা পথ হলেও যেতে যেতে অনেকটা ভোগান্তি পোহাতেই হয়েছে।
তবে কুয়াকাটা পৌরসভার রাস্তাটিতে এসে মিলেছে স্বস্তি। আঁকা-বাকা সড়কটি ছিলো বেশ ভালো। মাঝে পৌনে এক ঘণ্টার বিরতি শেষে ৭টায় বরিশাল থেকে যাত্রা করে পৌনে ১০টায় কুয়াকাটা পর্যটন মোটেল পৌঁছালো কার্নিভালের সংবাদ কাভারের জন্য আসা সাংবাদিক দল।
দেশের ঐতিহ্য বিশ্বের দরবারে প্রচার করতে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড আয়োজন করেছে মেগা বিচ কার্নিভাল, যাতে রয়েছে সাংস্কৃতিক আয়োজন। ১৪-১৬ জানুয়ারি চলবে এই আয়োজন।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৭
এমআইএইচ/এএটি/এইচএ/