অনেক পরিচ্ছন্ন মাওলিনং গ্রাম। এখানে সবকিছুই প্রাকৃতিক।
সুপারি গাছ বা অন্য কোনো গাছ দিয়ে নদীর দুই পারের মধ্যে একটি সেতু টানা হয়। তবে সেটি পারাপারের উপযোগী নয়। এর উপরই জড়িয়ে বেয়ে উঠেছে রাবার গাছের তন্তুর মতো শেকড়। যা পুরো একটি শক্তিশালী সেতু তৈরি করেছে। এর ওপর লাঠি বা পাথর খণ্ডও দেওয়া যেতে পারে। জীবন্ত শেকড়ের এ সেতু পূর্ণতা পেতে সময় লাগে ১৫ বছরের বেশি সময়।
গাছের শেকড়ের ধরনের ওপর নির্ভর করে সেতুগুলোর স্থায়ীত্ব। তবে, ধারণা করা হয় এক একটি জীবন্ত শেকড়ের সেতু শত বছরের ওপর টিকে থাকে। কারণ শেকড়গুলো নিজেরাই প্রয়োজন অনুসারে বৃদ্ধি হয় এবং শক্তিশালী হয়ে ওঠে।
মেঘালয়ের খাসিয়া আর জৈন্তা আদিবাসীরাই এ জীবন্ত শেকড়ের সেতু নির্মাণে পারদর্শীতা দেখিয়েছেন। তবে এর ইতিহাস সর্ম্পকে জানেনা এখানকার মানুষ।
মেঘালয়ে জীবন্ত শেকড়ের সেতু আরও রয়েছে। কোনোটি দুই ধাপের, কোথাও পাশাপাশি দু’টি সেতু আবার শেকড়ের সিঁড়িও রয়েছে।
এছাড়া নদীতেও এখন তেমন পানি নেই। গ্রামের শিশুরা বরশি দিয়ে মাছ ধরছে। দূরে থেকে দেখা যায় ওই গ্রামের নারীরা কাপড় ধুচ্ছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৭
এমএন/ওএইচ/বিএস