পর্যটকদের উপস্থিতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। আগামীতে পর্যটকদের উপস্থিতি আরও বাড়বে বলেও তারা আশা প্রকাশ করেছেন।
একই সঙ্গে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখার বিশেষত্ব নিয়ে দেশের একমাত্র সমুদ্র সৈকতে চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি থেকে তিন দিনব্যাপী মেগা বিচ কার্নিভালের আয়োজন করেছিল বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড (বিটিবি)।
সরকারের মন্ত্রী, আমলা এবং সাংস্কৃতিক অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের অংশগ্রহণে নানা আয়োজন ছিল ওই অনুষ্ঠানে।
মেগা বিচ কার্নিভালের সময় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, এ কার্নিভালের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশসহ বিশ্বের দরবারে কুয়াকাটার পর্যটনের বিষয়গুলো তুলে ধরতে পেরেছিলেন তারা।
ওই মেগা বিচ কার্নিভালের দেড় মাস পর কুয়াকাটার বিভিন্ন স্তরের মানুষের মুখে মুখে শোনা গেল পর্যটকের আগমন বেড়েছে, বেশি সংখ্যক পর্যটকের আগমনে তারা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
বুধবার (০১ মার্চ) সন্ধ্যায় কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের পর্যটকদের গোসল করা, ঢেউয়ে পা ভেজানো, ছবি তোলা, ইঞ্জিনচালিত নৌকায় ঘুরে বেড়ানো এবং সৈকতে বালির উপর বসানো চেয়ারে বসে প্রাকৃতিক দৃশ্য অবলোকন করতে দেখা যায়। কেউ কেউ আবার ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলে করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন পর্যটন কেন্দ্রগুলো।
পর্যটকদের উপস্থিতর বিষয়ে নৌকা চালক সমিতি, স্থানীয় বাসিন্দা, শুটকি পল্লীর ব্যবসায়ী ও দোকানদারদের সঙ্গে কথা বলে বাংলানিউজ।
পর্যটকদের বিনোদনের জন্য সমুদ্র সৈকতে বিভিন্ন পর্যটন স্পট ইঞ্জিন চালিত নৌকায় করে ঘুরে দেখানোর জন্য কুয়াকাটা টুরিস্ট বোট মালিক সমবায় সমিতির অফিস থেকে মাইকে ঘোষণা করা হচ্ছিলো।
সমিতির ম্যানেজার সাইদুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, গতবছরের এই সময়ের তুলনায় এবার পর্যটক বেড়েছে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, বিচ কার্নিভালের কুয়াকাটার পর্যটনের বিষয়গুলো প্রচার পেয়েছে। এবার নৌকা ভাড়াও বেশ ভাল হচ্ছে বলে জানান সাইদুর।
গত দু’বছর থেকে সৈকতে ভাড়ায় ছবি তুলে আসা স্থানীয় মনির হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, এবার পর্যটক এসেছে বেশি। গতবছর এমন ছিল না।
পর্যটকদের আগমনে খুশি স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। শুটকি ব্যবসায়ী খলিলুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, বিচ কার্নিভালে প্রচারের ফলে পুরো মৌসুমেই এবার দর্শনার্থী বেশি এসেছে। ব্যবসাও বেশ ভাল।
সূর্যাস্ত দেখার সময় কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। সাগরের বুকে সূর্যাস্ত দেখার পরে সন্ধ্যায় সামুদ্রিক মাছের দোকানগুলোতে পর্যটকদের মাছ ও কাঁকড়া পুড়ে খেতে দেখা গেছে। আর আবাসিক হোটেলগুলোতেও পর্যটকদের আগন বেড়েছে।
হোটেল নীলাঞ্জনা লিমিটেডের ম্যানেজার সৈয়দ মোস্তফা আলী বাংলানিউজকে বলেন, ডিসেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত পর্যটকরা আসেন। এবার গতবারের চেয়ে পর্যটক বেড়ে হোটেলের ৬০ শতাংশ আসন পূর্ণ থাকছে। বিচ কার্নিভালের পর কুয়াকাটার পর্যটন প্রচারের কারণে ইতিবাচক ফল পাওয়া যাচ্ছে। এ ধরনের প্রচারণার আয়োজন আবারও করা উচিত।
১৮ কিলোমিটার দৈর্ঘের কুয়াকাটার এই সৈকতে লাল কাঁকড়ার পাশাপাশি কুয়া, বৌদ্ধ বিহার দর্শন করছিলেন পর্যটকরা। সব মিলে কুয়াকাটা সৈকতে ভিড় ছিল তুলনামূলক বেশি।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৮ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০১৭
এমআইএইচ/এসএইচ