বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এ সৈকত লাগোয়া দীর্ঘ নারিকেল গাছের সারি, লাল কাঁকড়ার ছোটাছুটি, সমুদ্রের গর্জন পর্যটকদের মন ছুঁয়ে যায়। তবে পর্যটকবান্ধব তেমন কোনো অবকাঠামো গড়ে ওঠেনি এখানে।
পাশাপাশি ভিয়েতনামেরও কিছু স্পট এখানে যুক্ত হতে পারে। সব মিলিয়ে এশিয়ার ট্যুরিজম এলাকাগুলোকে এই মহাপরিকল্পনায় স্থান দেওয়া হবে। কুয়াকাটা অঞ্চলের মাটি, পানি, বায়ু ও পরিপার্শ্বিক অবস্থা ঠিক রেখেই গড়ে উঠবে ইকো-ট্যুরিজম।
নগর উন্নয়ন অধিদফতর সূত্র জানায়, কুয়াকাটা উপকূলীয় অঞ্চলে পর্যটন শিল্পের বিকাশ, ভূমির সর্বোত্তম ব্যবহার ও ভূমি ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের জন্য কাঠামোগত নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে। কুয়াকাটা উপকূলীয় অঞ্চলের গ্রোথ সেন্টার উন্নয়নে নীতিমালা ও পরিকল্পনাও নেওয়া হবে বড় পরিসরে।
এ পরিকল্পনা প্রসঙ্গে নগর উন্নয়ন অধিদফতরের পরিচালক ড. খুরশীদ জাবিন হোসেন তৌফিক বাংলানিউজকে বলেন, আমরা একটি পরিকল্পিত পর্যটন এলাকা গড়তে চাই কুয়াকাটা ঘিরে। এখানের মাটি, বায়ু, পানি ও পরিবেশকে প্রাধান্য দিয়ে ইকো-ট্যুরিজম গড়বো। পাতায়া-বালির আদলে গড়ে উঠবে স্পটগুলো। আমরা দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন ট্যুরিস্ট স্পট ঘুরে দেখেছি। কুয়াকাটার সঙ্গে যেটা সামঞ্জস্য মনে হয়েছে সেটিকেই প্রাধান্য দিচ্ছি। তবে প্রাথমিকভাবে পাতায়া-বালিকে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। তবে এটি গড়তে সময় লাগবে।
বর্তমানে কাঠামোগত কোনো নীতিমালা না থাকায় অপরিকল্পিতভাবে স্থাপনা গড়ে উঠে কুয়াকাটা সৈকতের পরিবেশ হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার দিক দিয়েও পিছিয়ে কুয়াকাটা। তাই পরিবেশের সঙ্গে ভারসাম্য রেখে ‘প্রিপারেশন অব ইকো-ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট প্ল্যান ফর কুয়াকাটা কোস্টাল রিজিয়ন’ প্রকল্প হাতে নিতে যাচ্ছে সরকার। প্রাথমিকভাবে প্রায় ২৫ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে এতে।
কুয়াকাটা ঘিরে মহাপরিকল্পনার মধ্যে থাকবে বৃহত্তম কুয়াকাটা অঞ্চলের প্রস্তাবিত আঞ্চলিক কাঠামোর আওতায় পরিবেশ নির্ভর পর্যটন পরিকল্পনা। এর অধীনে থাকবে স্ট্রাকচার, আরবান এরিয়া, রুরাল এরিয়া, অ্যাকশন প্ল্যানসহ এনভায়রনমেন্টাল কনজারভেশন প্ল্যান।
পাশাপাশি এনভায়রনমেন্টাল ম্যানেজমেন্ট, ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট, সোশ্যাল স্পেস, ফুড গ্রেইন ম্যানেজমেন্ট, এনার্জি ম্যানেজমেন্ট, ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট, ইনিস্টিটিউশনাল ডেভলপমেন্ট এবং ফিন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান করা হবে। বালি-পাতায়ার আদলে কুয়াকাটা গড়তে সব ধরনের পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে নগর উন্নয়ন অধিদফতর।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৬ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০১৭
এমআইএস/এএ