সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ বাংলানিউজকে বলেন, শনিবার সকাল থেকে আটটি স্পিডবোট ও ১০টি ট্রলারে করে পাঁচ শতাধিক পর্যটক টেকনাফে পৌঁছেছেন। দ্বীপে আরও তিন শতাধিক পর্যটক থাকতে পারে।
ফেরত আসা পর্যটকদের মধ্যে ঢাকার খিলগাঁওয়ের বাসিন্দা নূর আলম বাংলানিউজকে বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্ত্রী-ছেলেকে সঙ্গে করে টেকনাফে ফেরত এসেছি। কারণ যেকোনোভাবে কাল আমাকে ঢাকায় পৌঁছাতে হবে। আমি একজন সরকারি কর্মকর্তা।
রাশেদ আলম নামে আরেক পর্যটক বলেন, সেন্টমার্টিনে আসা-যাওয়ার জন্য এক হাজার টাকায় টিকিট করে গিয়েছিলাম। কিন্তু এখন দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় জাহাজ চলাচল না করায় সাড়ে পাঁচ হাজার টাকায় স্পিডবোটে করে টেকনাফ ফিরেছি। ঢাকা ফিরে যাওয়া খুবই জরুরি। তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হলেও টেকনাফ ফিরতে হলো।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমুল হক বলেন, সঞ্চারণশীল মেঘমালার জন্য সাগর উত্তাল থাকতে পারে। বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্রবন্দরের ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাগর ও নাফনদীতে মাছ শিকার ও পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।
পর্যটকবাহী জাহাজ কেয়ারি সিন্দাবাদের ব্যবস্থাপক মো. শাহ আলম বলেন, সাগর উত্তাল থাকায় শুক্রবার থেকে টেকনাফ-সের্ন্টমাটিন নৌরুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে। সাগর স্বাভাবিক হয়ে গেলে সের্ন্টমাটিনে আটকে থাকা পর্যটকদের ফিরিয়ে আনা হবে।
তিনি আরও বলেন, গত দু’দিন ধরে টেকনাফ-সের্ন্টমাটিন রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ ও ট্রলার বন্ধ থাকায় সের্ন্টমাটিনে বেড়াতে আসা পর্যটকরা আটকা পড়েন।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শফিউল আলম বলেন, ঝুঁকি নিয়ে না আসার জন্য নির্দেশ দেওয়ার পরও সের্ন্টমাটিনে আটকা পড়া পর্যটকরা ট্রলার নিয়ে টেকনাফে ফিরছেন। দ্বীপে আরও যেসব পর্যটক রয়েছেন তাদের খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রায়হান কাজেমী বলেন, সেন্টমার্টিন থেকে পর্যটকরা ঝুঁকি নিয়ে ফিরছেন। কারণ তাদের ঢাকায় ফিরে যেতে হচ্ছে চাকরির জন্য। তারপরও ঝুঁকিপূর্ণ না যাওয়ার জন্য পর্যটকদের সার্বক্ষণিক সতর্ক করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০১১০ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৭
এএ