কুয়ালালামপুর সিটির মতো হাইরাইজ ভবন এখানে খুব একটা দৃশ্যমান নয়। সাজানো গোছানো, পরিপাটি আর ঝকঝকে।
১১০ মিটার উঁচু একটি টাওয়ার। এ টাওয়ারের কল্যাণেই সম্ভব হচ্ছে এই রাইড। টাওয়ারটির সঙ্গে রয়েছে কাচের গোলঘর। এই কাচের ঘরটিতে একসঙ্গে ৬৬ জন যাত্রী উঠতে পারেন। চেয়ারপাতা ঠিক চেয়ার খেলার মতো করে। বোতাম টিপে দিলে কাচের গোল ঘরটি ধীরে উপর দিকে ঘুরতে ঘুরতে টাওয়ারের চূড়ায় পৌঁছে যায়। চূড়ায় গিয়ে কয়েক চক্কর দিয়ে আপনাকে মালাক্কা শহর দেখে মুগ্ধ হওয়ার জন্য সময় করে দেবে।
এখানে দেখতে পাবেন সাগরের নীলাভ জলরাশি। আবার অন্যদিকে মালাক্কার ঐতিহাসিক সব দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা। একই কায়দায় চক্কর দিতে দিতে নিচে নেমে আসা। এসময় পুরো তিন’শ ষাট ডিগ্রি অ্যাঙ্গেল থেকে ঐতিহাসিক মালাক্কাকে দেখতে পাবেন আপনি। ওঠা-নামায় সময় নেবে মোট ৭মিনিট।
মিনারা তামিং সারি নামের এই রাইডটি মালাক্কা শহরের প্রাণকেন্দ্রে, মালাক্কা প্রণালী থেকে মাত্র কয়েক মিনিটের পায়ে হাঁটা পথ। বন্দর হিলির জালান মেরদেকায় অবস্থিত।
এটি উঠলে একদিকে যেমন মালাক্কা প্রণালীকে নয়নভরে দেখা যায়, তেমনি পুরাতন ঐতিহাসিক এই শহরটির চমৎকার আর দৃষ্টিনন্দন সব স্থাপনাও তাদের জেল্লা মেলে ধরবে। আর এতে ওঠার জন্য গুণতে হবে ২৩ রিঙ্গিত (১ রিঙ্গিত=১৮ টাকা), তবে শিশুদের বেলায় মাত্র ১৫ রিঙ্গিত।
প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে শুরু হয়ে রাত ১১ টা পর্যন্ত চালু থাকে। প্রতি পনের মিনিট পরপর চলে আকাশ থেকে মালাক্কাকে দেখানোর এই শো।
ঘোরাফেরা খুব বেশি হয় নি। দেখাও হয়নি খুব বেশি দেশ। আঙুলে গুনলে আটের ঘরে গিয়ে আটকে যায় চোখে দেখা দেশের সংখ্যা। মালাক্কা শহরে পা দিয়েই অন্য রকম রোমাঞ্চ টের পেলাম নবম শ্রেণির ভূগোল বইয়ে মালাক্কা প্রণালী পাঠের কল্যাণে।
কিন্তু সময়ের অভাবে পুরো শহরটি ঘুরে দেখতে না পারার অতৃপ্তিও ছিল তখন প্রকট। তবে মিনারা তামিং সারিতে ওঠার অভিজ্ঞতা সত্যিই চমৎকার। দারুণভাবে উসুল করে দেয় পুরো শহর ঘুরে দেখতে না পারায় গভীর অতৃপ্তি।
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার রমনা ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কিংবা চিড়িয়াখানায় এমন ধরনের রাইড স্থাপিত হতে পারে। এতে একদিকে যেমন রাজধানী ঢাকাকে তুলে ধরা হবে, তেমনি দেশি-বিদেশি পর্যটকদের নির্মল আনন্দের উৎস হতে পারে এই রাইড।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১৭
এসআই/জেএম