রোববার (১১ জুন) দুপুরে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের (ক্যাব) সদর দপ্তরে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এ সময় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন উপস্থিত ছিলেন।
চুক্তিতে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এহসানুল গণি চৌধুরী এবং পরামর্শক প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষে জাপানের ইন্টারন্যাশনাল কনসাল্টিং অপারেশন নিপ্পন কোই লিমিটেডের ভারপ্রাপ্ত ভাইস চেয়ারম্যান হারুহিকো কানাই, জাপানের ওরিয়েন্টাল কনসালটেন্টস গ্লোবাল লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান জান ইয়ামাউচি, সিঙ্গাপুরের সিপিজি কনসালটেন্টস লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট রোহানী বিনতে বাহরিন এবং বাংলাদেশের ডেভেলপমেন্ট ডিজাইন কনসালটেন্ট লি. এর একেএম রফিকুদ্দিন স্বাক্ষর করেন।
এ প্রকল্পে অর্থায়ন করবে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। আগামী বছরের এপ্রিলে এ কাজ শুরু হবে।
প্রকল্পের সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩ হাজার ৬১০ কোটি ৪৬ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। ২০১৯ এর ডিসেম্বরে প্রকল্পের সফট ওপেনিং এবং ২০২১ সালের এপ্রিলে এর নির্মাণ কাজ শেষ হবে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, হযরত শাহজালাল বিমাবন্দরের যাত্রী হ্যান্ডলিং ক্যাপাসিটি বছরে আট মিলিয়ন এবং কার্গো হ্যান্ডলিং ক্যাপাসিটি ২ লাখ টন। বিমানবন্দরের কার্গো হ্যান্ডলিং ক্যাপাসিটি ইতোমধ্যেই নিঃশেষ হয়ে প্রতিনিয়ত কার্গো জট সৃষ্টি হচ্ছে এবং ২০১৮ সালে যাত্রী হ্যান্ডলিং ক্যাপাসিটিও ফুরিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, সময়ের পরিবর্তিত চাহিদানুসারে বিমান বন্দরের সম্প্রসারণ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। প্রকল্প শেষ হলে যাত্রী পরিবহন ক্ষমতা ২০ মিলিয়ন এবং কার্গো হ্যান্ডলিং ক্যাপাসিটি বছরে ৫ লাখ টনে উন্নীত হবে।
অনুষ্ঠানে বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ ও চুক্তি স্বাক্ষরকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৬ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০১৭
আরএম/এসএইচ