তবে এবার ঈদের ছুটিতে ভিন্ন চিত্র পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে। পর্যটকদের উপস্থিতি নেই বললেই চলে।
বিগত কয়েক বছর ধরে নদী-পাহাড়, সমতলের জেলা হিসেবে খ্যাত খাগড়াছড়িতে পর্যটকদের উপস্থিতি অনেক বেড়েছে। অন্যদিকে রাঙ্গামাটির ভূস্বর্গ নামে পরিচিত সাজেকে যেতে হয় খাগড়াছড়ি হয়ে। এই কারণে খাগড়াছড়িতে হোটেলের সংখ্যা যেমন বেড়েছে তেমনি যানবাহনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানেরও সৃষ্টি হয়েছে। তাই এবার পর্যটক না থাকায় কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখিন হতে হবে।
এদিকে জেলার আলুটিলা, জেলা পরিষদ পার্ক, রিছাং ঝরনা, তৈদু ছড়া ঝরনা, হাজাছড়া ঝরনাসহ অন্যান্য পর্যটন স্পটে পর্যটকদের দেখা নেই।
খাগড়াছড়ির হোটেল ব্যবসায়ী স্বপন দেবনাথ বাংলানিউজকে জানান, ‘ঈদের একমাস আগে থেকে পুরো হোটেল বুকিং ছিল। কিন্তু আস্তে আস্তে সব বুকিং বাতিল হয়ে গেছে। রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়িতে টানা বৃষ্টি, পাহাড় ধসে শতাধিক মানুষের মৃত্যুর কারণে পর্যটকরা এবার আসেনি।
খাগড়াছড়ি পর্যটন মোটেলের ইউনিট ম্যানেজার ইদ্রিস তালুকদার বাংলানিউজকে বলেন, ‘এবার পাহাড় ধসের কারণে মানুষের মধ্যে ভয় কাজ করছে। তাই বিগত কয়েক বছরের মধ্যে এবার পর্যটকদের উপস্থিতি অনেক কম। মোটেলের দু-চারটি রুম ছাড়া পুরোটাই খালি রয়েছে।
খাগড়াছড়ি হোটেল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এস অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা বাংলানিউজকে বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে রাঙ্গামাটিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলেও খাগড়াছড়িতে তেমন ক্ষতি হয়নি। এই কারণে ঈদকে কেন্দ্র করে আমাদের ব্যাপক প্রস্তুতি ছিল। কিন্তু পর্যটকদের মনে ভয় থাকায় এবার খাগড়াছড়িতে আসেনি। হোটেল ব্যবসা থেকে শুরু করে যানবাহন সবক্ষেত্রে মোটা অঙ্কের লোকসান গুনতে হবে বলে জানান তিনি।
খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার (এসপি) আলী আহম্মেদ খান বাংলানিউজকে বলেন, ‘পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা ভেবে আমরা কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। কিন্তু ঘটে যাওয়া পাহাড় ধসের কারণে হয়তো এবার তেমন পর্যটক আসেনি। এটি খাগড়াছড়ির পর্যটকখাতে প্রভাব ফেলেছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৬ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১৭
জিপি/