বাংলাদেশের সঙ্গে ভিসা প্রক্রিয়া সহজীকরণের অংশ হিসেবে এ পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটি। প্রথম তিনটি রুট উন্মুক্ত করে দিলেও ভিসা নিয়ে কোনো রুট বাধ্যবাধকতা না রাখতেই কাজ করছে ভারত সরকার।
ঢাকার ভারতীয় হাই কমিশন সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
হাসিনা-মোদীর ফিরতি সফর, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সৌহার্দ্যপূর্ণ বিভিন্ন পদক্ষেপের পাশপাশি ভিসা ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। সামনে আরও পরিবর্তন লক্ষ্যণীয় হয়ে উঠবে।
৩২টি রুটের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয় হরিদাসপুরের বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে। মানুষ যাতায়াতেও যোজন যোজন এগিয়ে অন্য রুট থেকে। প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করে রুটে।
ঢাকা-কলকাতা মৈত্রী রেল যোগাযোগও এখন আগের চেয়ে অনেক আরামদায়ক। পুরোপুরি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচ দিয়ে চলছে যাত্রী পরিবহন। কাজ চলছে এটাকে ননস্টপ করার। ঢাকা ও কলকাতায় ইমিগ্রেশনের কাজ শেষ করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। এছাড়া খুলনার সঙ্গেও সরাসরি রেল যোগাযোগ চালু হচ্ছে শিগগিরই। ১৯৬৫ সালের পর বন্ধ হয়ে যাওয়া বেশ কয়েকটি রুট ফের চালু করার বিষয়েও পুরোদমে কাজ চলছে।
যাত্রীদের বিপত্তি ছিলো অন্যখানে। ভিসায় রেলরুট দেওয়া থাকলে বাস বা যে কোনো স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে ঢোকা যেত না। আবার বাইরোড হরিদাসপুর/রেল-গেদে ভিসা নিলে জরুরি প্রয়োজনে যাওয়া যেত না প্লেনে।
নতুন নিয়মে আখাউড়া/চ্যাংড়াবান্ধা/ডাউকিসহ যেকোনো রুটের ভিসা থাকলেই সেই যাত্রী যেতে পারবেন রেল, প্লেন অথবা হরিদাসপুর বর্ডার দিয়ে। কলকাতার সঙ্গে যোগাযোগের জন্য এই রুটটিই সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় ও ব্যবহার করা হয়। ঘোজাডাঙ্গা ছাড়া অন্য যেকোনো রুট দিয়ে কলকাতা যাওয়া অনেক কঠিন। অনেক খরচ ও ঘুরে যেতে হয়।
এসব বিবেচনায় বাংলাদেশিদের ভারত সফর সহজ করতে এ পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটি।
প্রতিদিন প্রচুর সংখ্যক বাংলাদেশি ভারতে যান চিকিৎসা ও ঘুরতে। তরুণ প্রজন্ম ব্যাগপ্যাক নিয়ে যেকোনো সময় বেরিয়ে পড়ে। নতুন এ নিয়মে যে যার সাধ্য ও প্রয়োজন অনুযায়ী বৈধ ভিসা থাকলে এই তিন রুট দিয়ে নির্বিঘ্নে, নিশ্চিন্তে যাতায়াত করতে পারবেন।
বাংলাদেশ সময়: ০১১৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৭
এএ