কিন্তু নানা কারণে সুন্দরবনে বিদেশি পর্যটক আশংকাজনকভাবে কমছে।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের তথ্য মতে, ২০১২-১৩ সালে সুন্দরবনে বিদেশি পর্যটক এসেছিল ৩ হাজার ৮শ’ ৫৪ জন।
শুধু বিদেশি নয়, ২০১২-১৩ অর্থ বছরের পরে ২০১৫-১৬ অর্থ বছর পর্যন্ত দেশি পর্যটকও পড়তিতেই ছিলো। ২০১২-১৩ সালে সুন্দরবনে দেশি পর্যটক সংখ্যা ছিল ১ লক্ষ ১৬ হাজার ৫শ’ ৬০ জন। ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে এ সংখ্যা আশংকাজনক হারে নেমে ৭৫ হাজার ৭শ’ ৪২ জনে দাঁড়ায়। তবে ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে কিছুটা বেড়ে ৭৭ হাজার ৪শ’ ৭৩ জন দেশি পর্যটক সুন্দরবন ভ্রমণ করেন। ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে দেশি পর্যটক আরো বেড়ে হয় ৯১ হাজার ৮শ’ ২১ জন।
তবে ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে দেশি পর্যটক সংখ্যা এক লাফে বেড়ে দাঁড়ায় ১ লক্ষ ২২ হাজার ৫শ’ ৩৪ জনে।
যদিও বিদেশি পর্যটকদের বেশি রাজস্ব দিতে হয় বলে দেশি পর্যটক বাড়লেও সুন্দরবনের রাজস্ব আয় আগের চেয়ে কমেছে।
২০১২-১৩ অর্থ বছরে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের পর্যটকদের কাছ থেকে পাওয়া মোট রাজস্ব ছিল ১ কোটি ৩ লক্ষ ৬৮ হাজার ৮শ’ ৯০ টাকা। ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে যা কমে দাঁড়িয়েছিল ৬৭ লক্ষ ৪ হাজার ৬০ টাকা। ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে তা বেড়ে ৮৫ লক্ষ ৩১ হাজার ২শ’ ৭০ টাকায় পৌঁছুলেও ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে ফের ৭৫ লক্ষ ৬৫ হাজার ৪শ’ ৮০ টাকায় নেমে যায়। সর্বশেষ ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে রাজস্ব আয় হয় ৮২ লক্ষ ৬১ হাজার ৬শ’ ১০ টাকা, যা ২০১২-১৩ অর্থবছরের চেয়ে প্রায় ২১ লাখ টাকা কম।
এ হিসেবে গত পাঁচ অর্থবছরে সুন্দরবন থেকে অন্তত কোটি টাকা কম রাজস্ব আদায় হয়েছে।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল হাসান জানান, নিরাপত্তা সঙ্কটের পাশাপাশি সুন্দরবন কেন্দ্রিক বড় কোনো পর্যটন প্রকল্প না থাকায় সুন্দরবনে পর্যটক ও রাজস্ব আয় কমছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০১৭
জেডএম/