মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকালে খুলনা থেকে ঢাকাগামী চিত্রা এক্সপ্রেসের ‘ঘ’ কোচের যাত্রী আইল্যান্ড সিকিউরিটিজ হাউজের হেড অব কমপ্লায়েন্স কাজী রাকিবুল হকের বক্তব্য এমনই।
তিনি বলেন, বেহাল সড়কের কারণে সড়কপথে নরক যন্ত্রণা পোহাতে হয়।
একই কোচের আরেক যাত্রী নিয়াজ উদ্দিন বলেন, সড়ক পথে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ-রুটে ফেরি চলাচলে প্রায়ই বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। এতে দীর্ঘ যানজটে ঢাকা পৌঁছাতে অনেক সময় লাগে। কিন্তু ট্রেনে সে সমস্যা নেই।
মহাসড়কের মতো ট্রেনে যাতায়াতে যানজটের আশঙ্কা নেই বলে একধরনের স্বস্তির কথা জানান তিনি।
রেল কর্মকর্তারা বলেন, দক্ষতা, আসন বৃদ্ধি, সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও আরামদায়ক ভ্রমণের কারণে ট্রেনের প্রতি যাত্রীদের ভরসা দিনদিন বাড়ছে। তবে টিকিটের চাহিদা এতো বেশি যে প্রায়ই টিকিট দিতে হিমশিম খেতে হয়।
চিত্রা এক্সপ্রেস ছাড়ার আগে খুলনা রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার মানিক চন্দ্র সরকার বাংলানিউজকে জানান, যানজট এড়াতে অনেকেই এখন ভ্রমণের জন্য রেলকে বেছে নিয়েছেন। ট্রেনে এখন আরামদায়ক ও আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন বগি সংযুক্ত করায় মানুষ রেলের দিকে ঝুঁকছেন।
তিনি আরও জানান, খুলনা থেকে প্রতিদিন ঢাকাগামী দু’টি আন্তঃনগর ট্রেন (চিত্রা ও সুন্দরবন), রাজশাহীগামী দু’টি (কপোতাক্ষ ও সাগড়দাঁড়ি) এবং চিলাহাটিগামী দু’টি (রূপসা ও সীমান্ত) ট্রেন রয়েছে। এছাড়া খুলনা থেকে বেনাপোল পর্যন্ত একটি কমিউটার ট্রেন দিনে দু’বার আসা-যাওয়া করে। কমিউটার ছাড়া বাকি ৬টি ট্রেনের টিকিট অনলাইনে পাওয়া যায়।
এক পরিসংখ্যানে জানা যায়, খুলনা স্টেশন থেকে জুলাইয়ে ৭১ হাজার ১৬৬টি, আগস্টে ৮১ হাজার ১৫৬টি এবং সেপ্টেম্বরে ৬৬ হাজার ৬৭৯টি টিকিট বিক্রি হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৭
এমআরএম/জেডএস