নিজের লাগেজটা গুছিয়ে ছিটে বসতেই ট্রেনের হুইসেল বাজলো। ঝকঝকাঝক ট্রেন ছাড়তেই তিনি নিজের হাতের ঘড়িটার দিকে তাকিয়ে বিস্ময়ে বললেন, আজব! ট্রেন ১০ মিনিট লেট করে ছাড়বে না!
বলছিলাম ঢাকা-সিলেট রুটের অন্যতম ট্রেন উপবন এক্সপ্রেসের কথা।
ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে সিলেটের উদ্দেশে ট্রেনটি ছাড়ে রাত ৯টা ৫০ মিনিটে। বুধবার ব্যতীত সপ্তাহের প্রতিদিন চলে ট্রেনটি।
সঠিক সময়ে ট্রেন ছাড়ার ব্যপারে যাত্রী অংকুর বলেন, আমি প্রধানত ট্রেনেই ভ্রমণ করি। তবে সব জায়গাতেই ট্রেন ছাড়তে বেশ দেরি হয়। কোথাও তো আবার স্টেশনে ট্রেন এসে পৌঁছাতেই অতিরিক্ত দুই ঘণ্টা লাগে। তবে আজ উপবনের
একদম সঠিক সময়ে যাত্রায় বেশ ভালো লাগছে। এর যাত্রীসেবাও বেশ ভালো মনে হচ্ছে। সময়ানুবর্তিতা ও যাত্রীসেবার মান ঠিক রাখলে রেল ভ্রমণে সাধারণ জনগণের আগ্রহ আরও বাড়বে।
শেষ প্যারাটা লিখতেই আবারো হুইসেল বাজলো উপবন এক্সপ্রেসের। সে অবস্থান নিলো ঢাকার বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনের ১ নম্বর প্লাটফর্মে। ঘড়ির কাঁটায় তখন রাত ১০টা ১৫ মিনিট। প্লাটফর্মে লাগানো সিডিউল অনুযায়ী এ স্টেশন থেকে ট্রেনটি ছাড়ার কথা ১০টা ২২ মিনিটে।
কথা হয় টিকিট পরিদর্শক মো. তারিকুজ্জামানের সাথে। তিনি বললেন, সময়ানুবর্তিতা ও যাত্রীসেবার মানের ব্যাপারে উপবন এক্সপ্রেস সবসময়ই আস্থাশীল।
পাশ থেকে উপবনের একাধিক বারের যাত্রী মৌমিতা রায় জানালেন, ঠিক সময়েই ছাড়ে উপবন এক্সপ্রেস।
বাংলাদেশ সময়: ২৩১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১৭
এইচএমএস/এমজেএফ