বর্ষায় পানিতে টুইটম্বুর বনের রূপ যেমন উপচে পড়ে। শীতেও তেমনি অতিথি পাখির আনোগোনা মুগ্ধ করে পর্যটকদের।
৫০৪ দশমিক ৫০ একর আয়তনের এ সোয়াম্প ফরেস্টের ১৭১ একর ভূমি এক যুগের বেশি সময় ছিল বেদখলে। পশ্চিমে রাতারগুলের ৪০ একর জায়গা উদ্ধার করা হয় আগেই। আর পুবে মহেষখেড় মৌজায় বাকি প্রায় ১৩১ একর ভূমি উদ্ধার হয় সোমবার (২০ নভেম্বর)।
বন বিভাগ সিলেটের বিভাগীয় কর্মকর্তা এস এম মনিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, এদিন মহেষখেড় মৌজায় প্রায় ১৩১ একর জায়গা উদ্ধার করে ৫০ হাজার চারা ও ১৩টি পিলার লাগানো হয়েছে।
তিনি বলেন, দখলদারদের বুঝিয়ে ভূমি উদ্ধার করা হয়। আর কোনো জায়গা বেদখল নেই। এখন ইকো ট্যুরিজমে রাতারগুল তার আপন বৈশিষ্ট ফিরে পাবে। তাছাড়া বন রক্ষায় সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটি করার উদ্যোগও নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
প্রায় ২৫ প্রজাতির উদ্ভিদ রয়েছে রাতারগুলে। প্রাকৃতিক বন হলেও বেত, কদম, হিজল, মুর্তাসহ নানা জাতের পানি সহিষ্ণু গাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির আরো প্রায় দেড় লক্ষাধিক গাছ রোপণ করার কথা জানান এ বন কর্মকর্তা।
সিলেটের সীমান্তবর্তী গোয়াইনঘাট উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নে সোয়াম্প ফরেস্ট রাতারগুলের অবস্থান।
১৯৭৩ সালে ৫০৪ একর বনকে বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য ঘোষণা করা হয়। এরপর উদ্ধার হওয়া ভূমি বেদখলে চলে যায়। অবশেষে সীমানা নির্ধারণক্রমে ভূমির মালিকানা নিলো বন বিভাগ। দখলমুক্ত হলো রাতরগুল!
বাংলাদেশ সময়:২১০১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৭
এনইউ/জেডএস