মাগুরা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মোল্যা নবুওয়াত আলী বাংলানিউজকে জানান, জেলা শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে বর্তমান শ্রীপুর উপজেলা সদরে অবস্থিত এ জমিদারি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সারদা রঞ্জন পাল চৌধুরী। এর আগে বাংলার বারো ভূঁইয়ার অন্যতম যশোরের মহারাজা প্রতাপাদিত্যের আওতাধীন ছিল শ্রীপুর।
মহারাজা প্রতাপাদিত্যের ছেলে উদয়াদিত্যের সঙ্গে সারদা রঞ্জন পাল চৌধুরীর মেয়ে বিভা পাল চৌধুরীর বিয়ে হয়। এ সূত্র ধরে মহারাজ প্রতাপাদিত্যের আনুকূল্যে শ্রীপুরে জমিদারি প্রতিষ্ঠা করেন সারদা রঞ্জন পাল চৌধুরী।
শ্রীপুর ও পার্শ্ববর্তী এলাকা এ জমিদারির আওতায় ছিল। আত্মীয়তার সূত্রে শ্রীপুরে এসেছিলেন মহারাজ প্রতাপাদিত্য।
জনশ্রুতি আছে, এ বিভাপাল চৌধুরীকে উপলক্ষ করেই কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘বৌ ঠাকুরানীর হাট’ উপন্যাস রচনা করেন।
শ্রীপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি আশরাফ হোসেন পল্টু বাংলানিউজকে বলেন, প্রবেশদ্বার বা সিংহদ্বারসহ প্রাসাদতুল্য বিশাল জমিদার বাড়িটি বর্তমানে ভগ্ন অবস্থায় পড়ে আছে।
মুক্তিযোদ্ধা নবুওয়াত ও সাংবাদিক পল্টু মনে করেন, পুরনো স্থাপত্য নিদর্শন নতুন প্রজন্মকে ইতিহাস জানতে সাহায্য করে। শ্রীপুর জমিদার বাড়ি রক্ষণাবেক্ষণে তাই সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। এটিকে কেন্দ্র করে বিনোদনকেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৭
এএসআর