আগে থেকেই বুকিং হওয়ায় হোটেল-মোটেল ও কটেজের কক্ষগুলো এখন আর খালি নেই বললেই চলে। দর্শনীয় স্থানগুলোতে পর্যটকদের পদচারণা এরইমধ্যে বুঝিয়ে দিয়েছে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে উৎসবের আমেজের কোনো কমতি নেই।
এদিকে পর্যটকদের আতিথেয়তা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন ট্যুরিস্ট পুলিশ, নৌ-পুলিশ, হোটেল ব্যবসায়ীসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট সব ব্যবসায়ীরা।
হোটেল ব্যবসায়ীরা জানান, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমি সাগরকন্যা কুয়াকাটা। এখানকরা মনোরম নৈসর্গিক দৃশ্য ভ্রমণবিলাসী মানুষকে বারবার হাতছানি দেয়। আর তাই এবারের শীত মৌসুমের শুরু থেকেই পর্যটকদের আনাগোনা বিগত সময়ের চেয়ে অনেকটাই বেশি। ইংরেজি ২০১৭ সালকে বিদায় আর ২০১৮ সালকে বরণ করতে বহু পর্যটকের সমাগমে মুখরিত এখন কুয়াকাটা।
এদিকে আবাসন সংকটের কারণে অনেক পর্যটক পড়েছেন বিড়ম্বনায়। পাশাপাশি বাড়তি মানুষের চাপে অনেক অসাধু ব্যবসায়ীরা সুযোগ নিতে রয়েছেন তৎপর।
বেলায়েত নামের এক পর্যটক জানান, পর্যটকের চাপে শুধু খাবারের দামই বাড়তি নয়, বেড়েছে অভ্যন্তরীণ যানবাহনেরও ভাড়া। তবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আগের চেয়ে অনেকটাই ভালো।
তিনি জানান, কুয়াকাটায় এসে নতুন কিছু জিনিস মুগ্ধ করেছে। যারমধ্যে কুয়াকাটার অদূরে সাগরের মধ্যে জেগে ওঠা চর বিজয় ও কুয়াকাটা থেকে গ্রিনলাইন ওয়াটার ওয়েজের জাহাজে সুন্দরবনে ভ্রমণ। আবার শিশুদের জন্যও কুয়াকাটায় নতুন সংযোজিত হয়েছে প্রাণবন্ত ম্যাজিক বোর্ড।
সুরভী পরিবহনের কর্ণধার মাসুম খান বলেন, কুয়াকাটায় আগত পর্যটকদের বাড়তি বিনোদন এবং বৃহৎ ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল সুন্দরবন ভ্রমণের জন্য সুরভী পরিবহন এবং গ্রিনলাইন ওয়াটার ওয়েজের একটি ভ্যাসেল সার্ভিস চালু করা হয়েছে। ভ্রমণে জনপ্রতি সাধারণ ১৫শ’ টাকা, ইকোনমি ২৫শ’ টাকা এবং ভিআইপি ৩৫শ’ টাকা নেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যেই সকালের নাস্তা, দুপুরের লাঞ্চ এবং বিকেলে নাস্তা রয়েছে। প্রতিদিন সুন্দরবনের চারটি পয়েন্টে ভ্রমণ শেষে বিকেলেই আবার কুয়াকাটা ফিরে আসতে পারবেন পর্যটকরা।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জহিরুল ইসলাম বলেন, দর্শনীয় স্থানসহ পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমণে ট্যুরিস্ট পুলিশ ও নৌ-পুলিশের পক্ষ থেকে তিনস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত নিয়ম ও সময়ের বাইরে গিয়ে কোথাও ঘোরাঘুরি না করার জন্য পর্যটকদের অনুরোধ জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৭
এমএস/জেডএস