বুধবার (২৮ মার্চ) দুপুরে বিভাগীয় পর্যায়ে ট্যুরিজম সম্পর্কিত জনসচেতনতা ও প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া।
জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বিভাগীয় কমিশনার আরও বলেন, ভ্রমন করা শিক্ষার একটি অংশ। স্বচ্ছলতা এবং অর্থনৈতিক স্বাবলম্বীতা থাকলে জীবনকে উপভোগ করা যায়। প্রত্যেকের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করা গেলে বাংলাদেশকে পর্যটনের জন্য সাজিয়ে তোলা সম্ভব।
অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মোহাম্মদ ফারুক হোসেন এতে সভাপতিত্ব করেন।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব নিখিল রঞ্জন রায়।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মাহাবুব হাকিম, অতিরিক্ত ডিআইজি একেএম নাহিদুল ইসলাম, কেএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলাম এবং জেলা প্রশাসক মো. আমিন উল আহসান। স্বাগত বক্তৃতা দেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার নিশ্চিন্ত কুমার পোদ্দার।
এতে খুলনা ও যশোরের জেলা প্রশাসকদ্বয় তাদের নিজ নিজ জেলা পর্যটনের বিভিন্ন সম্ভবনাময় ও দর্শনীয় স্থাপনা ও স্থানগুলো পাওয়ার পয়েন্টে উপস্থাপন করেন।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, এতদঞ্চলে সুন্দরবন আমাদের পর্যটনের অন্যতম আকর্ষণ। কক্সবাজার, সুন্দরবনসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের আর্কষণীয় স্থানগুলোকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে ২০১০ সালে ট্যুরিজম বোর্ড সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে গঠন করা হয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ বিভাগ। সরকার পর্যটনশিল্পের বিকাশে সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনাতে দুই হাজার তিনশ’কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।
এছাড়া ক্যাপাসিটি বিল্ডিং অর্থাৎ সক্ষমতা বাড়াতে দুইশ’ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।
কর্মশালায় বিভাগীয় পর্যায়ের সরকারি দফতরের কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), হোটেলের প্রতিনিধি, এভারগ্রিন ট্যুরস, সাংবাদিক, স্টেকহোল্ডার, এনজিও এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১১ ঘণ্টা, মার্চ ২৮ , ২০১৮
এমআরএম/এএটি