পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট উইং কর্মকর্তা সোমবার (০২ এপ্রিল) বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান।
কর্মকর্তা জানান, ২০০২ সালের জুনে থাইল্যান্ডে এসিডি প্রতিষ্ঠিত হয়।
এ দেশগুলো ১৯টি বিষয় নিয়ে একে অন্যকে সহযোগিতা করতে একত্রিত হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো- পর্যটন, জ্বালানি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উল্লেখযোগ্য। সম্মেলনে পর্যটন খাত ও এর ভবিষ্যতসহ নানা বিষয় নিয়ে নীতিনির্ধারণী আলোচনা হবে।
সম্মেলনে আগত ৩২ দেশের পর্যটক মন্ত্রীদের পর্যটন নগরী কক্সবাজার পরিভ্রমণে নিয়ে যাওয়া হতে পারে।
ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রদত্ত পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, বছরে এখন ৫০ থেকে ৬০ লাখ মানুষ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যান। সব মিলিয়ে প্রায় ৪০-৪৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছে পর্যটন খাত। আর্থিক মূল্যে দেশীয় পর্যটন খাতের আয়তন বেড়ে এখন দাঁড়িয়েছে কমপক্ষে ৪ হাজার কোটি টাকার।
দেশের মানুষের আর্থিক সামর্থ্যে অনেক উন্নতি ঘটায় গত কয়েক বছরে অভ্যন্তরীণ পর্যটন খাত অনেকটাই সম্প্রসারিত হয়েছে। তবে বিদেশি পর্যটক এখনও বাংলাদেশ তেমনভাবে আকর্ষণ করতে পারেনি।
আমাদের আশপাশের দেশগুলো আগামী ৫০ বছরে পর্যটনের বাজার কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, সে নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে। এখন পৃথিবীতে ৭২৫ কোটি জনসংখ্যার বিপরীতে পর্যটকের সংখ্যা ১০০ কোটি ছাড়িয়েছে। ২০৫০ সালে পর্যটকের সংখ্যা বেড়ে ৪৫০ কোটিতে গিয়ে পৌঁছাবে। বর্তমানে ১০০ কোটি পর্যটকের ৫০ শতাংশ যাচ্ছে ইউরোপে আর ২০ শতাংশ আসছে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০১৮
কেজেড/এমজেএফ