ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পর্যটন

বিকাশমান পর্যটন শিল্পে সম্ভাবনাময় সাতক্ষীরা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩২৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩, ২০১৮
বিকাশমান পর্যটন শিল্পে সম্ভাবনাময় সাতক্ষীরা সুন্দরব‌নের কো‌লে শ্যামনগ‌রে জেলা প্রশাসন পরিচা‌লিত আকাশলীনা ই‌কো ট্যু‌রিজম সেন্টার। ছ‌বি: বাংলা‌নিউজ

সাতক্ষীরা​: বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বিকাশমান শিল্প পর্যটন। অত্যন্ত সম্ভাবনাময় এ শিল্পকে ঘিরে বিকশিত হয়েছে বিভিন্ন দেশের অর্থনীতি। বহুদেশ এ খাতকে আঁকড়ে ধরে সামনে আসার চেষ্টা করছে। একইভাবে পর্যটন শিল্পে বাংলাদেশও অগ্রসরমান। 

আমাদের দেশের অনেক জেলাই প্রাকৃতিক বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ও ঐতিহাসিক স্থাপনাকে ঘিরে আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিতি পেয়েছে। এ ক্ষেত্রে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সুন্দরবন উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরার গুরুত্ব ও সম্ভাবনাও কম নয়।

 

সুন্দরবন ও সুন্দরবনকে ঘিরে গড়ে ওঠা বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র এবং ঐতিহাসিক নানা স্থাপনাকে ঘিরে এই জেলা ধীরে ধীরে পরিচিত হয়ে উঠছে বিশ্বব্যাপী।  

‘সাতক্ষীরা’ নামকরণের যেমন অত্যন্ত তাৎপর্যমণ্ডিত প্রেক্ষাপট রয়েছে, তেমনি পর্যটন শিল্পেও এই জেলা অত্যন্ত সমৃদ্ধ। যার সবচেয়ে বড় আকর্ষণ সুন্দরবন।  

বিশ্বঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃত সুন্দরবন পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন। এই স্রোতজ বনভূমি বাংলাদেশের খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলাজুড়ে বিস্তৃত। তবে, ভৌগোলিকভাবে সুন্দরবনের কোলে অবস্থান হওয়ায় একমাত্র সাতক্ষীরা জেলা থেকেই সড়কপথে সুন্দরবন দেখা যায়। তাই স্বল্প খরচে সুন্দরবনকে প্রতিনিয়ত নতুন রূপে আবিষ্কারের সুযোগ কেবল সাতক্ষীরাতেই রয়েছে।  

সড়কপথে দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছুলেই নদীর ওপারে চোখে পড়ে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের ‘ব্র্যান্ড’ সুন্দরবন। এরপর ভ্রমণপিপাসুরা বনবিভাগ থেকে পাশ নিয়ে ইচ্ছেমতো দর্শন করতে পারেন এই বিশ্ব ঐতিহ্যের সৌন্দর্য।  

ঐতিহাসিক বনবিবির বটতলা।  ছবি: বাংলানিউজতবে, সুন্দরবনকে পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয়, দৃষ্টিনন্দন ও আনন্দদায়ক করে তুলেছে সুন্দরবনকে ঘিরে গড়ে ওঠা আকাশলীনা ইকো-ট্যুরিজম সেন্টার, মান্দারবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত, কলাগাছিয়া ইকো-ট্যুরিজম সেন্টার, দোবেকী ইকো-ট্যুরিজম সেন্টার, ক্যারাম মুরা ম্যানগ্রোভ ভিলেজ, ক্যারাম মুরা পাখি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র, কৈখালী সীমান্ত ও পাঁচ নদীর মোহনা, উড়ালমন আদিবাসী গ্রাম ও নৌকা ভ্রমণ সাইট এবং শিয়ালকুনি বনায়ন।
  
সুন্দরবনের আবেশে কেওড়া বাগানে গড়ে ওঠা আকাশলীনা ইকো-ট্যুরিজম সেন্টারের পরিচিতি এখন দেশজুড়ে। জোয়ার-ভাটায় রূপ পরিবর্তনকারী এই ইকো-ট্যুরিজম সেন্টার ভ্রমণ পিপাসুদের সুন্দরবন দর্শনের আগ্রহ বাড়িয়েছে বহুগুণে।
 
মান্দারবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত। যার একদিকে সুন্দরবন, অন্যদিকে বঙ্গোপসাগরের বিশাল জলরাশি। প্রায় ১৭ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সমুদ্র সৈকত দর্শনার্থীদের পুলকিত করে তোলে নতুন করে। যা পর্যটকদের বার বার ডাকে সুন্দরবনে।  
লোকালয়ের কাছে, তবে, সুন্দরবনের ভেতরে অবস্থিত কলাগাছিয়া ইকো-ট্যুরিজম সেন্টারে রয়েছে বনের ভেতর হেঁটে বেড়ানোর সুযোগ। যেখানে বনের মধ্যে হাঁটতে হাঁটতে চোখে পড়ে বানর, মায়া হরিণসহ বিভিন্ন ধরনের পাখি ও জীবজন্তু। রয়েছে সুউচ্চ ওয়াচ টাওয়ার।  

সুন্দরবনের ভেতর আর একুট এগিয়ে গেলেই দোবেকী ইকো-ট্যুরিজম সেন্টার। সেখানেও রয়েছে একই সুযোগ-সুবিধা।  

তবে, সুন্দরবনে আসা দর্শনার্থীদের আনন্দ দিতে বিশেষ ভূমিকা রাখছে ক্যারাম মুরা ম্যানগ্রোভ ভিলেজ, ক্যারাম মুরা পাখি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র, কৈখালী সীমান্ত ও পাঁচ নদীর মোহনা, উড়ালমন আদিবাসী গ্রাম ও নৌকা ভ্রমণ সাইট এবং শিয়ালকুনি বনায়ন। রয়েছে আদিবাসী মুন্ডাদের জীবনাচার ও সংস্কৃতি অবলোকনের সুযোগও।  

অর্থাৎ সুন্দরবন ভ্রমণের সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত রুট হলো সাতক্ষীরা। যেখানে একই সঙ্গে সুন্দরবনের সঙ্গে সমুদ্রের গর্জন, আদিবাসীদের জীবনাচার ও সংস্কৃতি দর্শন এবং আকাশলীনার মতো আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে।  

তবে, শুধু সুন্দরবন নয়। সাতক্ষীরা পর্যটনের অন্যতম গন্তব্য হতে পারে এখানকার সুপ্রাচীন ও ঐতিহাসিক নানা স্থাপনার কারণেও।

সুন্দরবন যে উপজেলায় অবস্থিত, সেই শ্যামনগরেই রয়েছে এমন অসংখ্য স্থাপনা। এসব স্থাপনার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ঈশ্বরীপুরের পাঁচ গম্বুজ বিশিষ্ট ঐতিহাসিক শাহী মসজিদ। ১৫৯৯ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত এই মসজিদটি টেংগা মসজিদ নামেও পরিচিত। যা স্থাপত্য শিল্পের অনন্য নিদর্শন।  

শ্যামনগরের গোপালপুর ঘোষপাড়ায় একটি জঙ্গলের মধ্যে মাটির স্তুপের মতো দাঁড়িয়ে আছে গোবিন্দা দেবের মন্দির। একই স্থানে ১৫৭৭-১৫৯৫ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে চারটি মন্দির নির্মিত হয়। ঠিক তেমনি ১৬০০ খ্রিস্টাব্দে ১ জানুয়ারি উদ্বোধন করা হয়েছিল ঈশ্বরীপুরের জিযুইট গির্জা। এটিই বাংলার প্রথম র্গিজা।  

উল্লিখিত প্রাচীন স্থাপনাগুলোর বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো-তিনটিই যশোহর রাজ্যের রাজা প্রতাপাদিত্যের পৃষ্ঠপোষকতায় নির্মিত। যিনি যশোহর রাজ্যের রাজধানী স্থাপন করেছিলেন শ্যামনগরের ধুমঘাট পল্লীতে এবং তারই পৃষ্ঠপোষকতায় একই এলাকায় নির্মিত হয়েছে মসজিদ, মন্দির ও গির্জা। যা অসাম্প্রদায়িক চেতনার অনন্য দৃষ্টান্ত।
 
এছাড়াও শ্যামনগরে রয়েছে যশোরেশ্বরী কালী মন্দির, নকিপুর জমিদার বাড়ি, জাহাজঘাটা নৌদুর্গ, হাম্মামখানা ও সম্প্রতি গড়ে তোলা এগ্রো টেকনোলজি পার্ক।  

 সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে মুঘল আমলে নির্মিত মুসলিম  স্থাপত্যের অনুপম নিদর্শন প্রবাজপুর শাহী মসজিদ।   ছবি: বাংলানিউজ১২ শতকের শেষের দিকে রাজা লক্ষণ সেনের আমলে তৈরি যশোরেশ্বরী কালী মন্দির সাতক্ষীরার একটি অন্যতম প্রাচীন নিদর্শন। শ্যামনগর সদর ইউনিয়নে এখনো দাঁড়িয়ে আছে জমিদার রায় বাহাদুর হরিচরণ রায় চৌধুরীর তিনতলা বিশিষ্ট জমিদার বাড়ি, মন্দির ও নহবতখানা। যা নকিপুর জমিদার বাড়ি নামেই বেশি পরিচিত। মুঘল আক্রমণ প্রতিহত করতে রাজা প্রতাপাদিত্য শ্যামনগর উপজেলার খানপুরে যমুনা-ইছামতি নদীর পূর্ব পাড়ে গড়ে তোলেন জাহাজঘাটা নৌদুর্গ। জাহাজঘাটার একটি মাত্র ভবন ভেঙে চুরে এখনও টিকে আছে কালের সাক্ষী হয়ে। শ্যামনগরের যশোরেশ্বরী মন্দির ও টেংগা মসজিদের মাঝখানে অবস্থিত রাজা প্রতাপাদিত্যের রাজকীয় হাম্মামখানা।
 
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের প্রবাজপুরে সম্রাট আওরঙ্গজেব নির্মিত মুঘল যুগের কারুকার্য খচিত প্রবাজপুর শাহী মসজিদ, মৌতলার জাহাজঘাটা মসজিদ, ধলবাড়িয়ার মোস্তফাপুর গ্রামের নবরত্ন মন্দির, বিষ্ণুপুর জমিদার বাড়ি, রতনপুরের কাটুনিয়া রাজবাড়ি, কুশলিয়ার মহৎপুরের রাজা প্রতাপাদিত্যের মাটির গড় বা দুর্গ ও নলতার পাক রওজাও ধর্মীয় এবং ঐতিহাসিক কারণে আকর্ষণ করে দর্শনার্থীদের।
 
কালিগঞ্জ উপজেলার মথুরেশপুর ইউনিয়নের প্রবাজপুর গ্রামে অবস্থিত মুসলিম সভ্যতার প্রাচীন নিদর্শন প্রবাজপুর শাহী মসজিদ সম্পর্কে স্থানীয়দের মত, ১১০৪ হিজরিতে জিনেরা জঙ্গল কেটে রাতারাতি মসজিদটি নির্মাণ করেন। রাজা প্রতাপাদিত্য মুসলমান সৈনিক ও প্রজাদের জন্য নির্মাণ করেছিলেন মৌতলা জাহাজঘাটা মসজিদ। ঈশ্বরীপুরের পাঁচ গম্বুজ বিশিষ্ট ঐতিহাসিক শাহী মসজিদের সঙ্গে এর নির্মাণ কাজের কিছুটা মিল রয়েছে। চার কোণে চারটি কক্ষ ও বাইরের দেওয়ালে পশ্চিম-দক্ষিণ এবং পূর্ব দিকে অর্ধ বৃত্তাকার খিলানের সাহায্যে নির্মিত প্রবেশপথ বিশিষ্ট ধলবাড়িয়ার মোস্তফাপুর গ্রামে এখন্ দেখতে পাওয়া যায় নবরত্ন মন্দিরের অবশিষ্টাংশ।  

আর শিক্ষা ও সমাজ সংস্কারক খান বাহাদুর আহছান উল্লা (র.) এর পাক রওজা সারাদেশে নলতার পাক রওজা নামে পরিচিত। বাৎসরিক ওরসকে কেন্দ্র করে এখানে প্রতিবছর লাখ লাখ মানুষের সমাগম ঘটে।
 
তালা উপজেলায় ১২৭০ বঙ্গাব্দে নির্মিত তেতুলিয়া জামে মসজিদের নির্মাণ শৈলী দৃষ্টি কাড়ে সবার। একইভাবে বঙ্গভঙ্গ রদের স্মৃতি হিসেবে তালা বাজারের খেয়াঘাট মোড়ে নির্মিত দরবার স্তম্ভের রয়েছে ঐতিহাসিক গুরুত্ব।  
  
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার লাবসা জমিদার বাড়ি মসজিদ ও লাবসা মুন্সিপাড়া শাহী মসজিদ প্রাচীন স্থাপত্য শৈলীর অনন্য নিদর্শন। সদর উপজেলার ভালুকা চাঁদপুর শাহী মসজিদ, বৈকারী শাহী মসজিদ, ছয়ঘরিয়া জোড়া মন্দির, সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুর শাহী মসজিদ ও পুরাতন সাতক্ষীরার পঞ্চ মন্দিরেরও (মায়ের বাড়ি) গুরুত্ব কোনো অংশে কম নয়।
 
বর্তমানে সাতক্ষীরা শহরতলীর মোজাফফর গার্ডেনও পরিচিত হয়ে উঠেছে সারাদেশে।  

কলারোয়ার হেলাতলার চেড়াঘাট জামে মসজিদ, কোঠাবাড়ি থান ও সোনাবাড়িয়া মঠের নির্মাণ শৈলী ভ্রমণ পিপাসুদের পিপাসা মেটায়।
 
আশাশুনির প্রণব মঠ ১৯২১ সালে সুন্দরবন দুর্ভিক্ষের সময় নির্মিত। এই মঠ থেকেই সেসময় দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষকে সেবা দেওয়া হতো। দেবহাটার টাউন শ্রীপুর জমিদার বাড়ি, দেবহাটার নীলকুঠিসহ বিভিন্ন প্রাচীন ও দৃষ্টিনন্দন স্থাপনার নির্মাণ শৈলী মন কাড়ে পর্যটকদের।  

একই সঙ্গে এসব স্থাপনা সাতক্ষীরার প্রাচীন ইতিহাস ও ঐতিহ্য তুলে ধরে পর্যটকদের কাছে।  

সাতক্ষীরার রয়েছে সুপ্রাচীন ইতিহাস। আর এসব ইতিহাসের সাক্ষী হিসেবে দাঁড়িয়ে থাকা প্রাচীন স্থাপত্য শৈলী পর্যটন শিল্পকে করেছে সমৃদ্ধ।  

অন্যদিকে, পর্যটক টানতে সমসাময়িককালে দেবহাটায় ইছামতির পাড়ে গড়ে তোলা হয়েছে রূপসী ম্যানগ্রোভ পর্যটন কেন্দ্র। এখানে রয়েছে ম্যানগ্রোভ বনের মধ্যদিয়ে হেঁটে বেড়ানোর সুযোগ। যার ওপারেই ভারত। এখানে একই নদীতে ভারতীয় ও বাংলাদেশি জেলেদের মাছ ধরতে দেখা যায়।  

দেবহাটার ঐতিহাসিক বনবিবির বটতলার কথা না বললেই নয়। শত বছরের পুরানো বটগাছটির শাখা-প্রশাখা দুই একর জায়গাজুড়ে বিস্তৃত। এখানে রয়েছে বনবিবির থান। বনবিবির বটতলায় প্রতিবছর মাঘ মাসের ৩ তারিখে বসে হাজুত মেলা। নিয়মিতই জেলা ও জেলার বাইরে থেকে দর্শনার্থীরা আসেন ঐতিহাসিক বনবিবির বটতলায়।  
সর্বোপরি সাতক্ষীরার পর্যটন সম্ভাবনা অসীম। তবে, এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।  

# ভগ্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা সড়কপথে সুন্দরবন দর্শনসহ সাতক্ষীরার পর্যটন সম্ভাবনা ম্লান করে দিচ্ছে। তাই পর্যটন শিল্প বিকাশে রাস্তা-ঘাট উন্নয়নের বিকল্প নেই।  

# সড়কপথে সুন্দরবন দর্শনের একমাত্র পথ বা মাধ্যম সাতক্ষীরা হলেও কর্তৃপক্ষের অবহেলায় সাতক্ষীরা রেঞ্জের ফরেস্ট স্টেশনগুলো থেকে এখনও বনে রাত্রিযাপনের পাশ দেওয়ার ব্যবস্থা চালু হয়নি। রাত্রিযাপনের পাশ নিতে ধর্ণা দিতে হয় খুলনায়। তাই অনেকেই মুখ ফিরিয়ে নেন সাতক্ষীরা থেকে। এজন্য সাতক্ষীরার ফরেস্ট স্টেশনগুলো থেকে বনে রাত্রিযাপনের পাশ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
   
# সাতক্ষীরার পর্যটনকে এগিয়ে নিতে পর্যটন সাইটগুলোতে স্বল্প খরচে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
 
# প্রচারেই প্রসার। সম্প্রতি পর্যটন সম্ভাবনা তুলে ধরতে (প্রচার) জেলা প্রশাসন ‘বৈচিত্র্যময় সাতক্ষীরা’ নামে জেলার ইতিহাস-ঐতিহ্য ও দর্শনীয় স্থানের সচিত্র সংকলন প্রকাশ করেছে। যা প্রশংসার দাবিদার। প্রচার-প্রচারণায় আর একটু দৃশ্যমান উদ্যোগ নিয়ে যদি সব উপজেলা সদরে সংশ্লিষ্ট প্রাকৃতিক বা ঐতিহাসিক বা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ কোনো দর্শনীয় স্থান থেকে থাকে তার বর্ণনা সম্বলিত বিলবোর্ড স্থাপন করতে হবে। এতে শুধুমাত্র বেড়াতে না এলেও যারা সাতক্ষীরায় কোনো কাজে আসেন, বিলবোর্ড দেখে দর্শনীয় স্থানগুলো দেখার আগ্রহ জাগবে তাদের।
 
# সাতক্ষীরা জেলা শহর থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলে কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলো ক্রমেই ক্ষয় হচ্ছে। অবিলম্বে এগুলোর রক্ষাণাবেক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
 
# সার্বিকভাবে সাতক্ষীরায় আসা কোনো পর্যটক যাতে হয়রানি বা প্রতারণার শিকার না হন, সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।  

সবশেষে সাতক্ষীরার পর্যটন শিল্প দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাবে, পরিচিতি পাবে বিশ্বজুড়ে- এই প্রত্যাশা।  
...
(তথ্য সূত্র: বৈচিত্র্যময় সাতক্ষীরা, জেলা প্রশাসন, সাতক্ষীরা) 

বাংলাদেশ সময়: ০৯২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০১৮
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।