ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পর্যটন

বনভ্রমণে চায়ের শিশুরা

বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বাপন, ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৮
বনভ্রমণে চায়ের শিশুরা ভাড়াউড়া চা বাগানের শিশুরা। ছবি: বাংলানিউজ

মৌলভীবাজার: শান্তনির্জন পাহাড়ি প্রকৃতি। চার শিশুর কলকাকলি এই নির্জনতাকে অন্যমাত্রায় পৌঁছে দেয়। কুয়াশা মুড়ানো চা বাগানের অলিগলি পথ ধরে বেরিয়ে পড়েছে চায়ের শিশুরা।

দূরন্ত শৈশব নীরবে জানান দেয় তাদের অদম্যতা। সকালের সূর্য উঠে গেছে ঢের আগে।

তখন সময় প্রায় সাড়ে আট। সাপ্তাহিক বন্ধের আমেজ তাদের চোখে মুখে। তারপর রয়েছে স্কুলের বার্ষিকী পরীক্ষার ছুটি। এখনো মামাবাড়ি বা নানাবাড়িতে যাওয়া হয়নি। এ দুটো ছুটি মিলিয়ে বনভ্রমণে উদ্দেশ্যে তাদের এই প্রাতঃসম্মেলন।  ভাড়াউড়া চা বাগানের শিশুরা।  ছবি: বাংলানিউজশুক্রবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে ফটোগ্রাফির উদ্দেশ্যে বের হয়ে চা বাগানের পাহাড়ি এলাকার গিয়ে তাদের চারজনের সঙ্গেই দেখা। তখন তারা চা বাগানের সেকশনের ভেতর দাঁড়িয়ে নিজের মাঝে কী প্রসঙ্গে যেন আলোচনা করছিলো।

পাহাড়ে এসে চায়ের শিশুদের খুঁজে পাওয়ার বিষয়টি বলে দেয়- সকালটা সত্যি অন্য রকম! কণ্ঠে তাদের বাগানিভাষা। একজনের বলা শেষ হওয়ার আগেই অপরজন সে কথার রেশ টেনে প্রসঙ্গে ঢুকে পড়ে। কখনোবা মতের মিল! কখনো আবার অমিল। মোদ্দাকথা- নিজের মিশন অবধি পৌঁছানো চাই তাদের।

চারজনের এই যাত্রায় রয়েছে দুটো দ্বিচক্রযান। এক দ্বিচক্রযানে দু’জন যাত্রী। চালক এবং যাত্রী। টিলাময় উঁচু পাহাড়ি পথে তাদের পক্ষ পাড়ি দেওয়া অসম্ভব হয়ে দেখা দিয়েছে। বাহনটিকে ঠেলে ঠেলে নিয়ে এই অসম্ভবকে সম্ভব করছে তারা।

সাজু দোসাদ, শচীন হাজরা এবং শান্ত হাজরা পড়েছ সপ্তম শ্রেণিতে। তাদের দলে থাকা অপেক্ষাকৃত ছোট শিশুটি পড়ে তৃতীয় শ্রেণিতে। এর প্রত্যেকেই ভিক্টোরিয়া হাই স্কুলের শিক্ষার্থী। বসবাস করে ভাড়াউড়া চা বাগানে।  

কথা প্রসঙ্গে সাজু বাংলানিউজকে জানায়, প্রতি শুক্রবার বাইসাইকেল নিয়ে তারা এভাবে পাহাড়ি পথে ঘুরতে বের হয়। দু-তিন ঘণ্টার এই ঘোরাফেরা অনেক ভালো লাগে তাদের।   

বাংলাদেশ সময়: ০৯১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৮
বিবিবি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।