গোটা রাজধানীতে হাতে গোনা যে কয়টি বিনোদন কেন্দ্র রয়েছে, তার মধ্যে জাতীয় চিড়িয়াখানা একটি। ঈদের দিন আবহাওয়া প্রতিকূল অবস্থায় থাকায় লোক কিছুটা কম হলেও দ্বিতীয় দিনে এসে দর্শনার্থীদের ঢল নেমেছে এখানে।
লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিটে কেটে প্রবেশসহ ভেতরের প্রতিটি খাঁচার সামনে প্রচুর ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
মগবাজার এলাকা থেকে তিন সন্তানসহ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে চিড়িয়াখানা ঘুরতে এসেছেন আশরাফুল ইসলাম। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, কাজের কারণে সময়-সুযোগ করে আসা যায় না। ঈদের ছুটিতে বাচ্চাদের নিয়ে ঘুরতে এসেছি। পুরো চিড়িয়াখানা ঘুরে দেখেছি। বাচ্চারা সবাই খুশি। তার ১২ বছরের ছেলে মাহমুদ রাফি বাংলানিউজকে বলেন, বাঘ, সিংহ, ময়ূর ও বানর দেখেছি। ময়না পাখির সঙ্গে কথা বলেছি। আমার খুব ভালো লেগেছে।
অতিরিক্ত ভিড়ে কিছু অসুবিধার কথা উল্লেখ করে আশরাফুল বলেন, এতো মানুষ এসেছে গুনে শেষ করা যাবে না। এক সঙ্গে অনেক বেশি মানুষ আসলে ঘুরে ঘুরে দেখতে একটু অসুবিধা হয়। ভবিষ্যতে বুদ্ধি করে উৎসবের দিনগুলো ছাড়া অন্য দিন ঘুরতে আসতে হবে। বিপুল সংখ্যক মানুষের চাপ এ বিষয়টি বাদ দিলে চিড়িয়াখানার ব্যবস্থাপনা নিয়ে মোটামুটি সন্তুষ্ট দর্শনার্থীরা। তবে চিড়িয়াখানার প্রবেশ মুখে লম্বা লাইন, বাসসহ বিভিন্ন যানবাহন থাকা নিয়ে দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে দর্শনার্থীদের অনেককে।
শিহাব উদ্দিন নামে এক দর্শনার্থী বাংলানিউজকে বলেন, গাড়িগুলোকে একেবারে চিড়িয়াখানার গেট পর্যন্ত আসতে না দিয়ে আরেকটু দূরে থেকে ঘুরিয়ে দেওয়া যেতো।
এ বিষয়ে চিড়িয়াখানার কিউরেটর এসএম নজরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, পার্কিংয়ের বিষয়টি অন্যদের হাতে। তবে বাসগুলোকে আরও দূরে রাখার বিষয়ে ব্যবস্থা চলমান। বৃহস্পতিবার (০৬ জুন) চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীর সংখ্যা দুই লাখের কাছাকাছি হতে পারে বলে ধারণা করছেন কিউরেটর।
চিড়িয়াখানায় এ মুহূর্তে ১৩৭ প্রজাতির দুই হাজার ৭৯৪টি প্রাণী রয়েছে বলেও জানান কিউরেটর নজরুল ইসলাম।
তবে দর্শনার্থীদের অনেকে চিড়িয়াখানায় আরও বেশি প্রাণী রাখার দাবি জানিয়েছেন।
রফিকুল ইসলাম নামে এক দর্শনার্থী বাংলানিউজকে বলেন, চিড়িয়াখানাটিতে আরও বেশি ও বৈচিত্র্যময় প্রাণী থাকা প্রয়োজন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৮ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০১৯
এমইউএম/টিএ