শহরের কোলাহল ছেড়ে এমন দৃশ্য দেখতে ঈদের দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকেলে খুলনার পশুর নদীর পাড়ের ওয়াইসি রিসোর্ট অ্যান্ড পিকনিক কর্নারে এসেছেন অনেকে।
নানান গাছ-গাছালিতে ঘেরা এ রিসোর্টে আছে শান বাঁধানো পুকুর, লেকে নৌকায় বেড়ানোর ব্যবস্থাসহ অবকাশ যাপনের জন্য কটেজ।
এছাড়া মিনি চিড়িয়াখানায় বানর, বিদেশি কুকুর, পাখি, কবুতর, তীত পাখি, ঘোড়া দেখে ছোটরা খুব আনন্দ করছে। গ্রামের আবহের মধ্যে কৃত্রিম শৈল্পিকতার নিপুণ ছোঁয়ায় তৈরি করা বক, ব্যাঙ, ডাইনোসর, মাছরাঙা পাখি, কুমির দেখে ছোটরা খুব মজা পাচ্ছে। বড়রা তুলছেন সেলফি। তবে সবচেয়ে বেশি মনোমুগ্ধকর হলো রিসোর্টের সামনে নদীর নয়নাভিরাম দৃশ্য। অনেকে নৌবিহারে এ নদী পথে রিসোর্টে এসেছেন। রিসোর্টটি খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার গঙ্গারামপুর ইউনিয়নের গোপালখালী গ্রামে ৭ একর জমির উপরে অবস্থিত। এটি খুলনার জিরোপয়েন্ট থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে। খুলনার জিরোপয়েন্ট থেকে বাস, মাইক্রোবাস, ইজিবাইকসহ যেকোনো যানবাহনে সড়ক পথে এখানে আসা যায় বলে বিনোদন প্রেমীরা এবারের ঈদের ছুটিতে এখানে এসেছেন।
খুলনা থেকে নৌবিহারে বন্ধুদের নিয়ে রিসোর্টে আসা খুলনা সিটি করপোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স ইন্সপেক্টর কাজী মনজুর-উল-আলম বাংলানিউজকে বলেন, প্রকৃতির মধ্যে আড্ডা দিতে কার না ভালো লাগে। হাসি, আনন্দ, দুঃখ ভাগভাগি করে নেওয়ার মতো বন্ধু পেলে সময়ের গণ্ডিতে আড্ডাকে বেঁধে রাখা যায় না। তাইতো ঈদের ছুটিতে শহর ছেড়ে বন্ধুরা মিলে এখানে এলাম। ভালোই লাগছে প্রকৃতির মধ্যে সময় কাটিয়ে।
তিনি জানান, বেশি মুগ্ধ হয়েছেন নদীর পাড়ের বিশুদ্ধ বাতাস আর এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে।
অপর এক দর্শনার্থী মো. জুনায়েদ রাজু বলেন, ঈদ মানে আনন্দ। প্রতিবছরই ঈদ আসে তবে প্রতিটি ঈদে থাকে ভিন্ন ভিন্ন স্মৃতি। এবার শহর ছেড়ে একটু প্রকৃতির কাছে ছুটে এসেছি ঈদের ছুটিটা কাটাতে।
খুলনার নিরালা থেকে আসা অনিক বলেন, কোলাহলের নগর ছেড়ে ঈদের ছুটিতে কিছু সময়ের জন্য পরিবার নিয়ে এখানে এলাম। ভালোই লাগছে। ঈদের দিন যারা বৃষ্টির কারণে বন্ধু-বান্ধব ও পরিবার-পরিজনদের সঙ্গে সুন্দর সময় কাটানোর জন্য বের হতে পারেননি, তারা আজ অনেকেই এসেছেন বলে জানিয়েছেন ওয়াইসি রিসোর্ট অ্যান্ড পিকনিক কর্নারের টিকিট সহকারী উজ্জ্বল।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২২ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০১৯
এমআরএম/আরবি/