চট্টগ্রাম শহরের অদূরে বঙ্গোপসাগরের কোলঘেঁষা পতেঙ্গা সৈকতের চিত্র এমন। আলোতে ঝল-মল হয়ে উঠছে পুরো সাগরপাড়।
রাতের আলোয় পুরো আকাশ নীল ও আগুন বর্ণ ধারণ করে। তখন মনে হয় যেন আকাশ ও সাগরের মিতালি ঘটেছে। সেই সঙ্গে নির্মল বাতাস আর সাগরে ঢেউ জুড়ায় মন। রাতে এমন নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখতে ছুটে আসছেন পর্যটকরা। রাত ৯টা পর্যন্ত ভিড় দেখা যায় ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের।
পতেঙ্গা সি-বিচে কক্সবাজার ও কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের মতো মন মনোমুগ্ধকর পরিবেশ ও স্থাপনা না গড়ে উঠলেও অনেকটা ভালোলাগার পরিবেশ তৈরি হয়েছে এখানে। হাইওয়ে সড়কের পাশে মার্কেট ও সবুজের বাগান মনে দোলা দেয়। সাগরপাড়ে বাহারি রঙের সিসি ব্লক আর মন মাতানো পাথর দেখেই মনে হবে যেন ছোট কোনো পাহাড়ের চূড়া।
স্থানীয়রা বাংলানিউজকে জানান, পর্যটন আরো বাড়ছে পতেঙ্গা সি-বিচ। গত এক বছরে এখানে গড়ে উঠেছে নান্দনিক সব স্থাপনা। দিনে-রাতে পর্যটকদের নিরাপত্তায় রয়েছে পুলিশের টহল। সৈকতে রাতে যখন সারিবদ্ধ জাহাজগুলো আলো জ্বালিয়ে দেয়, তখন মনে হয় যেন- সাগরের বুকে এক টুকরো আলোর মিছিল। বাহারি আলোর উঁচু-নিচু দালান।
সূর্যাস্ত দেখার দৃশ্য যেমন সুন্দর ঠিক তেমন সুন্দর পতেঙ্গার নান্দনিক পরিবেশ। প্রিয়জন নিয়ে ঘুরতে আসছেন ভ্রমণপিপাসু মানুষ। প্রতিদিনই বিনোদনপ্রিয় মানুষের ঢল পুরো বিচজুড়ে। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা থাকায় রাত পর্যন্ত বসে সময় কাটান তারা। অনেকেই সন্ধ্যায় চলে আসেন রাতের অপরূপ দৃশ্য দেখতে। কেউ আবার ক্যামেরাবন্দি করছেন রাতের এমন দৃশ্য।
ঘুরতে আসা কয়েকজন তরুণ বাংলানিউজকে বলেন, রাতে সাগর অন্ধকার থাকে, শোনা যায় শুধু গর্জন। কিন্তু পতেঙ্গার চিত্র ভিন্ন। পাড়জুড়ে সারিবদ্ধ হয়ে থাকে বাহারি ধরনের নৌযান। যেগুলো রাতে আলো জ্বালিয়ে দিলে আলোকিত হয়ে ওঠে পুরো সাগরপাড়। তখন দেখতে খুব চমৎকার লাগে। এমন পরিবেশ যেকোনো মানুষকেই আকর্ষণ করবে। ভবিষ্যতে এখানে আরও স্থাপনা গড়ে উঠলে বাড়বে পর্যটকের সংখ্যা এবং একটি পর্যটনের নতুন দিগন্ত সৃষ্টি হবে, এমনটাই মনে করছেন স্থানীয়রা।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩০ ঘণ্টা, জুলাই ০৩, ২০১৯
এসআরএস/এএ