ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পর্যটন

ঘুরে আসুন ভুতিয়ার বিলের পদ্মফুলের গালিচায়

মাহবুবুর রহমান মুন্না, ব্যুরো এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৯
ঘুরে আসুন ভুতিয়ার বিলের পদ্মফুলের গালিচায় বিল নয় যেন, পদ্মফুলের বিছানা। ছবি: সাইদ জামান

খুলনা: বিলে ফুটে থাকা অজস্র পদ্মের সৌন্দর্য আসলেই অপার্থিব! চিরায়ত গ্রাম বাংলার অন্যতম মন ভোলানো দৃশ্য এটি। এমন নয়নাভিরাম দৃশ্য খুলনার তেরখাদার জলাবদ্ধ ভুতিয়ার বিলে গেলেই এখন দেখা মিলবে। চারিদিকে তাকালেই মনে হবে পদ্মফুলের গালিচা। পরিবার-পরিজন বা বন্ধুদের নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন এ পদ্মবিল থেকে।

জলজ ফুলের রানি খ্যাত পদ্ম ফুল ফুটছে ভুতিয়ার বিলে। যা দেখতে প্রতিদিনই দেশি-বিদেশি হাজারও পর্যটক ভিড় করছেন বিল এলাকায়।

পর্যটকদের ভিড়ে বিনোদনপ্রেমীদের প্রিয় স্পট হিসেবে রূপ নিচ্ছে ভুতিয়ার বিল।

স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. রাসেল জানান, পদ্মফুল ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য ভীড় জমাচ্ছেন দর্শণার্থীরা। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঢল নামে দর্শনার্থীদের।

ভুতিয়ার বিলে ফুটেছে পদ্মফুল।  ছবি: সাইদ জামানপদ্মবিলে ঘুরতে আসা খুলনা মহানগরীর গগণবাবু রোড এলাকার সাইদ জামান বাংলানিউজকে জানান, চারিদিকে তাকালে মনে হবে পদ্মফুলের গালিচা। দূর থেকে তাকালে মনে হবে বিলে কেউ যেন ফুলের বিছানা পেতে রেখেছে। এ যেন পদ্মমেলা। তার সঙ্গে ঘুরতে আসা কাজি তানভীর আহমেদ বনি, ওয়াসি খান, শেখ লিটন, ফেরদাউস তুষার তারাও অভিভূত পদ্ম বিল দেখে।

তারা জানান, স্নিগ্ধতার রং আর আকাশে মেঘের ভেলা এই দু’য়ে মিলে যেন একাকার প্রকৃতি। বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে গোলাপি রংয়ের পদ্ম দেখে মন জুড়িয়ে গেছে।

ভুতিয়ার বিলে ফুটেছে পদ্মফুল।  ছবি: সাইদ জামানখুলনার নতুন বাজার এলাকার ব্যবসায়ী খালিদ হোসেন রাজন বাংলানিউজকে বলেন, এতোদিন শুধু নাম শুনেছি। ফেসবুকেও ছবি দেখেছি। বাস্তবে দেখতে আসতে পেরে ভালো লেগেছে। এখানে না আসলে বোঝার উপায় নেই কতটা সুন্দর পদ্মবিল। পদ্মফুল দেখতে পেয়ে আমি আনন্দিত।

খুলনা সরকারি মহিলা কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক বিকাশ রায় বাংলানিউজকে জানান, পদ্ম বিল পর্যটকদের যেন মায়াবী হাতছানি দিয়ে ডাকছে। জলের বুকে যেন পদ্মের মেলা। বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে পদ্মফুলের সৌন্দর্যশোভিত এ বিল ইতিপূর্বে তেমন একটা পরিচিত ছিল না। গত কয়েক বছর প্রকৃতি প্রেমিকদের প্রচেষ্টায় পরিচিতি পাওয়া এ পদ্মবিল দেখতে এখন প্রতিদিনই দর্শনার্শীরা ভিড় করেন।
তিনি অভিযোগ করেন, পদ্মবিল থেকে অনেকেই পদ্মফুল ছিড়ে নিয়ে যায়, এতে পদ্মবিলের সৌন্দর্য হারাচ্ছে। প্রশাসন পদ্মবিলটি সংরক্ষণের ব্যবস্থা নিলে ভবিষ্যতে আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠবে এ বিলটি।

বিলে বিকেলের সময়টা বেশ উপভোগ্য। ছবি: সাইদ জামান
যেভাবে যাবেন: খুলনা জেলখানা ঘাট থেকে ফেরী পার হয়ে তেরখাদার বাসে উঠে পড়বেন, বলবেন পদ্ম বিল যাবেন। একেবারে নৌকা ঘাটে নামিয়ে দেবে। ওখান থেকে নৌকা নিয়ে করে ঘুরে আসুন পদ্ম বিল।
খরচ:  তেরখাদা পর্যন্ত বাস ভাড়া ৪০ টাকা। পদ্ম বিল পর্যন্ত ৫০-৫৫ টাকা। নৌকা ভাড়া ৬০০-৭০০ টাকার মতো নিবে। নৌকা ভাড়া ঠিক করে নেওয়া ভালো। এক নৌকায় ৩ জন বসতে পাবেন।
সতর্কতা: সকালে প্রচণ্ড রোদ থাকে। ছাতা, ক্যাপ নিয়ে যাবেন। বিকেলে গেলে ভালো হয়। ওখানে কিছু পাওয়া যায় না। তাই খাবার, পানি নিয়ে নেবেন আগে থেকেই।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৩৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩,  ২০১৯
এমআরএম/এইচএডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।