ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পর্যটন

পর্যটনখাতের বিকাশে কাজ করবে মেঘালয়-বাংলাদেশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ৮, ২০১৯
পর্যটনখাতের বিকাশে কাজ করবে মেঘালয়-বাংলাদেশ বক্তব্য রাখছেন মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড কনভ্যাল সাংমা। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: মেঘালয় ও বাংলাদেশের পর্যটনখাতের উন্নয়ন ও বিকাশে একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহ দেখিয়েছে দু’অঞ্চলের পর্যটনখাত সংশ্লিষ্টরা। এ উপলক্ষে ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব মেঘালয় (টোয়াম) এবং বাংলাদেশ (টোয়াব) এর মধ্যে এক সমঝোতা চুক্তি সই হয়।

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে দু’পক্ষের মধ্যে এক মতবিনিময় সভা আয়োজান করা হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড কনভ্যাল সাংমা।

মুখ্যমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হয়ে আসা টোয়াম প্রতিনিধিদের নেতৃত্ব দেন সংগঠনটির প্রেসিডেন্ট ই বি ব্লা। আর টোয়াবের নেতৃত্ব দেন সংগঠনটির চেয়ারম্যান তৌফিক উদ্দিন আহমেদ।

চুক্তি সই’র আগে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কনরাড কনভ্যাল সাংমা বলেন, আমাদের একটি সুবিধাজনক প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করতে হবে। ফলে দু’দেশ থেকে আসা পর্যটকদের ভ্রমণ আনন্দঘন হয়। এতে করে পর্যটকদের মধ্যে আস্থার সৃষ্টি হবে। আমাদের দিক থেকে অবকাঠামো এবং পরিবহনখাতের উন্নতি করতে হবে এটা ঠিক। দু’দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ে ও এ নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। আমরা দুই পক্ষের পর্যটনখাতের উন্নয়নে কাজ করবো।

টোয়াম প্রেসিডেন্ট ই বি ব্লাহ বলেন, সংগঠন হিসেবে টোয়াব’র যাত্রা বেশিদিন না হলেও ইতোমধ্যে তারা বাংলাদেশি পর্যটকদের জন্য দারুণ কাজ করছে। আমরা দু’পক্ষ একত্রে আরও দারুণ কিছু করতে পারি। আজকের আমাদের এই ভ্রমণ ও সাক্ষাৎ একটি ‘গোল্ডেন অপরচুনিটি’। মেঘালয়ের সরকারের সঙ্গে মিলে আমাদের সরাসরি কাজের সুযোগ রয়েছে। আমরা একে অপরের পর্যটকদের কাছে একে অপরের আকর্ষণীয় পর্যটন উপাদানগুলো তুলে ধরতে পারি।

টোয়াব প্রধান তৌফিক উদ্দিন আহমেদ বলেন, ভারত থেকে আরও বেশি পর্যটক বাংলাদেশে আনতে সেখানে বাংলাদেশের হাইকমিশনকে আরও গতিশীল হতে হবে। একইসঙ্গে ভারতের উচিত আমাদের এখানকার অপারেটরদের ভারতে দু’-তিন বছরের মাল্টিপল এন্ট্রিভিসা সুবিধা দেওয়া।

দু’দেশের পর্যটনখাতের উন্নয়নে ‘এক্সপেন্ডেবেল’ পর্যটনের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে টোয়াব পরিচালক তৌফিক রহমান বলেন, পর্যটক আমাদের এখান থেকে মেঘালয়ে যায় এবং মেঘালয় থেকে এখানে আসে। তবে এর বাইরে আরও একটি সুযোগ আছে এক্সপেন্ডেবেল পর্যটন দিয়ে। মেঘালয়ে আসা পর্যটক সেখান থেকে আমাদের এখানে আসতে পারে। আবার আমাদের এখানে আসা বাইরের পর্যটক এখান থেকে মেঘালয়ে যেতে পারে। কারণ ভারতের পূর্বাঞ্চলের থেকে মেঘালয় এবং বাংলাদেশ নিকটবর্তী।

সভায় উপস্থিত ছিলেন দু’দেশের পর্যটনখাত সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা।

বাংলাদেশ সময়: ০১২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮,২০১৯
এসএইচএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।