রোববার (১ ডিসেম্বর) ঢাকা ক্লাবের স্যামসন এইচ চৌধুরী মিলনায়তনে ‘পর্যটন ও কর্মসংস্থান’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ট্যুরিজম রিসোর্ট ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ট্রিয়াব) এ সেমিনারের আয়োজন করে।
মাহবুব আলী বলেন, ‘পর্যটন শিল্পের উন্নয়নের মহাপরিকল্পনা তৈরি করতে পরামর্শক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ২০২০ সালের পহেলা জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের ৩০ জুন; এই ১৮ মাসের মধ্যে পর্যটন মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে। এর পর সেখানে থাকা স্বল্পমেয়াদী, মধ্যমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা দেশের পর্যটন উন্নয়নের স্বার্থে তা যথাযথভাবে বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হবে। ’
তিনি আরও বলেন, ‘পর্যটন শিল্পের গুণগত পরিবর্তন আনতে কক্সবাজার ও সুন্দরবনের পার্শ্ববর্তী এলাকায় ‘এক্সক্লুসিভ ট্যুরিস্ট জোন’ গড়ে তোলার জন্যে কাজ চলছে। দেশের এই এক্সক্লুসিভ ট্যুরিস্ট অঞ্চলগুলোতে অসংখ্য মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। ’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘একটি বেসরকারি সংস্থা কক্সবাজারে ২.৬৬ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে আগ্রহী৷ সংস্থাটি কক্সবাজারে ফাইভ স্টার হোটেল, বিনোদন উপযোগী স্থান তৈরি করা, বিলাসবহুল কার পার্কিংসহ যোগাযোগ খাতে এই অর্থ বিনিয়োগ করতে চায়। সংস্থাটির সঙ্গে এরই মধ্যে আলোচনা হয়েছে। খুব শিগগিরই চুক্তি হতে পারে। ’
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান রাম চন্দ্র দাস বলেন, ‘পর্যটন শিল্প উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে অর্থনীতির চাকাও ঘুরতে থাকে। পর্যটন শিল্পে অনিবার্যভাবে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে। এ শিল্পের চাইতে আর কোনো শিল্পে এত বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারে না। ’
বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী ড. ভুবন চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‘বাংলাদেশের আর্কষণীয় পর্যটন এলাকার প্রচার প্রচারণা চালানো হচ্ছে। সে সঙ্গে বিদেশে বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরার চেষ্টা অব্যাহত আছে। ’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ট্রিয়াবের সভাপতি খবির উদ্দিন আহমেদ। আরও বক্তব্য রাখেন আটাবের সভাপতি এস এম মঞ্জুর মোর্শেদ, টোয়াবের সভাপতি রাফিউজ্জামান, টিডাবের সভাপতি সৈয়দ হাবিব আলী, বিডি ইনবাউন্ডের সভাপতি রেজাউল ইকরাম রাজু, এটিএফজেএফবি’র সভাপতি নাদিরা কিরণ প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন গাজী টেলিভিশনের (জিটিভি) এডিটর-ইন-চার্জ সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা।
বাংলাদেশ সময় ১০৫৮ ঘন্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৯
ডিএন/ওএফবি