ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পর্যটন

ঈদে বাড়তি ফ্লাইট না থাকলেও যাত্রীসংখ্যা বাড়ছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৫ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০২০
ঈদে বাড়তি ফ্লাইট না থাকলেও যাত্রীসংখ্যা বাড়ছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি প্লেন।

ঢাকা: আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে আকাশপথে বাড়তি ফ্লাইট না থাকলেও যাত্রীসংখ্যা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরছে। প্রতিদিনই অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট বাড়াচ্ছে এয়ারলাইন্সগুলো।

ঈদকেন্দ্রীক টিকিটের চাহিদাও বেড়েছে। অন্য পরিবহনের চেয়ে প্লেনে ভ্রমণ নিরাপদ হওয়ায় ঈদ যাত্রায় মানুষ প্লেনের দিকেই ঝুঁকছে।

যদিও করোনাকালে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) ১ জুন থেকে ফ্লাইট চালুর অনুমতি দিলে প্রথম দিকে যাত্রীর অভাবে অনেক ফ্লাইট বাতিল করতে হয়েছে এয়ারলাইন্সগুলোকে। জুনে দু-একদিন অভ্যন্তরীণ রুটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ফ্লাইট পরিচালনা করে যাত্রীর অভাবে ফ্লাইট বন্ধ করে দেয়। বর্তমানে অভ্যন্তরীণ রুটে বিমানের ফ্লাইট বন্ধ রয়েছে।

এদিকে যাত্রীসংখ্যা কম থাকলেও ফ্লাইট চালানো বন্ধ করেনি বেসরকারি ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ও নভোএয়ার। ফলে তাদের যাত্রীসংখ্যা বেড়েছে। প্রতি রুটেই ফ্লাইট বেড়েছে স্বাভাবিক সময়ের মতো।

এয়ারলাইন্স সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ২৭ জুলাই থেকে ৩০ জুলাই এবং ৩ আগস্ট থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত টিকিটের চাহিদা বেশি। তবে অন্য ঈদের মতো চাহিদা ও টিকিটের মূল্য বেশি নেই এ ঈদে। তবে যাত্রীসংখ্যা বাড়াকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন খাত সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, এর মাধ্যমেই অ্যাভিয়েশন খাত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরছে।

দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় গত ২৪ মার্চ সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে পরিবহন যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। সোয়া দুই মাসের ছুটি শেষে গত ১ জুন শর্ত সাপেক্ষে প্লেন ও গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দেয় সরকার। সেই শর্ত মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি মেনে এয়ারলাইন্সগুলো সর্বোচ্চ ৭৫ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে পারবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে এখনো সেই ৭৫ শতাংশ যাত্রী নিয়েই ফ্লাইট পরিচালনা করছে এয়ারলাইন্সগুলো।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের রিজার্ভেশন ডিপার্টমেন্ট জানায়, এখন চট্টগ্রামে প্রতিদিন পাঁচটি, সৈয়দপুরে পাঁচটি, যশোরে চারটি, সিলেটে দু’টি, রাজশাহীতে দু’টি ও বরিশালে দু’টি ফ্লাইট পরিচালনা করা হচ্ছে। যাত্রীসংখ্যা বাড়ায় স্বাভাবিক সময়ের মতো ফ্লাইটসংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। ২৭ জুলাই থেকে ৬ আগস্ট পর্যন্ত অধিকাংশ টিকিট বিক্রি হয়েছে তাদের।

নভোএয়ার জানিয়েছে, ঈদে টিকিটের চাহিদা রয়েছে। ২৭ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত টিকিটের চাহিদা বেশি। প্রতি রুটেই ফ্লাইটসংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। কক্সবাজার ছাড়া সব রুটেই এখন ফ্লাইট পরিচালনা করা হচ্ছে।

অন্য বিমানবন্দরগুলো খুলে দেওয়া হলেও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত না হওয়ায় কক্সবাজার বিমানবন্দরে ফ্লাইট চালুর অনুমতি দিচ্ছে না বেবিচক। তবে ঈদের আগেই এ রুটে ফ্লাইট চালুর অনুমতি দেওয়া হবে বেবিচক সূত্র জানিয়েছে।

ঈদে টিকিটের চাহিদা কেমন জানতে চাইলে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. কামরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিনিয়ত যাত্রীসংখ্যা বাড়ছে। ঈদে টিকিটের চাহিদা বেশ। কক্সবাজার বিমানবন্দর চালু করে দিলে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে শুরু করবে এ খাত।

বাংলাদেশ সময়: ১১০৫ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০২০
টিএম/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।