ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পর্যটন

‘রাজনৈতিক দুবৃত্তায়নে ট্যুরিজম খাত ধ্বংস করা হয়েছিল’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ৭, ২০২০
‘রাজনৈতিক দুবৃত্তায়নে ট্যুরিজম খাত ধ্বংস করা হয়েছিল’ শিপিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন রিপোর্টার্স ফোরামের সেমিনারে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী | ছবি: শাকিল

ঢাকা: নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, দেশ স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধু যখন বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করছিলেন, ট্যুরিজম খাতের উন্নয়নে কাজ করছিলেন তখন তাকে হত্যা করা হয়। আওয়ামী লীগ সরকার যখন এ খাতকে একটি স্বনামধন্য স্থানে নিয়ে গেল, এরপরই রাজনৈতিক দুবৃত্তায়নের মাধ্যমে এ খাতকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠে একটি গোষ্ঠী।

তিনি বলেন, তারা একের পর এক মুফতি হান্নান, বাংলা ভাই তৈরি করে ট্যুরিজম খাতকে আতঙ্কিত করে তোলে।

শনিবার (০৭ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘নদী, নৌপথ ও পর্যটন খাতের বিকাশে করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী। শিপিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন রিপোর্টার্স ফোরাম (এসসিআরএফ) এ সেমিনারের আয়োজন করে।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বিগত জোট সরকারের আমলে দেশের মধ্যে সিরিজ বোমা হামলা করে দেশকে অন্ধকারে পরিণত করে তুলেছিল। জঙ্গিবাদ কায়েম করা হয়েছিল, তৈরি করা হয়েছিল মুফতি হান্নান, বাংলাভাইসহ আরও অনেক জঙ্গি। বিচার ব্যবস্থা-আদালতের ওপর বোমা মেরে দেশকে আতঙ্কিত করা হয়েছিল। এ অবস্থায় একটি দেশে কীভাবে পর্যটক আসে? এ খাতকে ধ্বংস করা হয়েছিল।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বড় বড় গাড়ি বিক্রেতা কোম্পানির স্বার্থ রক্ষায় দেশের রেল ও নৌ পথকে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছিল। আবার তারা রাস্তার উন্নয়নও করে যায়নি। মহাসড়ক কাগজে থাকলেও এটা কেউ দেখেনি। এখন মহাসড়ক আছে, রেল-নৌ পথ সচল হয়েছে। মানুষ রেলে চড়ার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ে, প্রধানমন্ত্রী সব সেক্টরকে ঢেলে সাজাতে কাজ করছেন। যখন করোনা ভাইরাসের ভয়াল অবস্থা ছিলো সেই সময় রেল পথে সব পণ্য সরবরাহ করা হয়েছে, কোনো কিছুতে খাটতি রাখা হয়নি।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি নৌ পথের উন্নয়ন বাদ দিয়ে লুটপাট, দখলবাজি করেছে। যারা দখলবাজি, রাজনীতির দুবৃত্তায়ন করেছে, যারা মানুষ মেরেছে, মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছে তাদের রাজনীতি মানুষ সমর্থন করে না। এ কারণে আজ তারা রাজনীতির মাঠ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। অসুস্থ রাজনীতি চলতে পারে না, চলতে দেওয়া যায় না।

বিআিইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক বলেন, সব মন্ত্রণালয় এক হয়ে দেশের নদী ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে কাজ করা হচ্ছে। কর্ণফুলী ও ঢাকার পাশ্ববর্তী নদীগুলোর উন্নয়নে মাস্টার প্লান করা হয়েছে যার মাধ্যমে এগুলোকে দখলরোধ ও নাব্যতা ফিরিয়ে আনার কাজ চলমান আছে। ৪৯৩টি নদীর মধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড ৩১৭টি, বিআিইডব্লিউটিএ ১৭৮টির উন্নয়ন কাজ করছে। এছাড়া স্থানীয়ভাবে ছোট নদীর কাজও চলমান আছে। আমাদের টার্গেট আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে সব নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনা।

শিপিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি আশিম কুমার দে’র সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মহসিনুল করিম লেবু। বক্তব্য রাখেন নদী গবেষণা উনস্টিটিউটের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) ইঞ্জিনিয়ার লুতফর রহমান, সাবেক সভাপতি আনিসুর রহমান খান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সবুজ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০২০
ইএআর/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।