ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পর্যটন

স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না রাঙামাটিতে আসা ট্যুরিস্টরা!

মঈন উদ্দীন বাপ্পী, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩, ২০২১
স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না রাঙামাটিতে আসা ট্যুরিস্টরা! স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না পর্যটকরা। ছবি: বাংলানিউজ

রাঙামাটি: বছরের শুরুতে রাঙামাটিতে কয়েক হাজার পর্যটকের সমাগম ঘটেছে। নতুন বছরকে কেন্দ্র করে প্রকৃতির অপরূপ শহর পাহাড়ি জেলা রাঙামাটিতে ভ্রমণে এসেছেন তারা।

স্থানীয় প্রশাসন মহামারি করোনা রোধে ট্যুরিস্টসহ স্থানীয় বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যবিধি মানতে পুরো শহর এবং জেলাজুড়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে লিফলেট বিতরণ করে যাচ্ছে। মাস্ক পড়তে অনুরোধ জানাচ্ছে। বিশেষ করে ট্যুরিস্ট এলাকাগুলোতে জনসমাগম বেশি। তাই সেইসব এলাকাগুলোতে ‘নো মাস্ক, নো এন্ট্রি’ স্টিকার এবং সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

কিন্তু জেলার বাইরে থেকে আগত ট্যুরিস্টরা স্বাস্থ্যবিধির কোনো তোয়াক্কা করছেন না। মুখে নেই মাস্ক। মানছেন না সামাজিক দূরত্ব। দলবেঁধে ছুটছেন যে যার মতো।

স্থানীয় সচেতন মহল মনে করছেন, যদি স্থানীয় প্রশাসন ট্যুরিস্টদের স্বাস্থ্যবিধি মানাতে ব্যর্থ হয় তাহলে রাঙামাটিতে দ্রুত সময়ের মধ্যে করোনা রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে যেতে পারে।

সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, নতুন বছরের প্রথম দিনে রাঙামাটির বিখ্যাত ‘ঝুলন্ত সেতু’ দেখতে কয়েক হাজার পর্যটক এসেছেন। তাদের বেশিরভাগের মুখে কোনো মাস্ক নেই। মানছেন না সামাজিক দূরত্ব। বলে-কয়ে মাস্ক পড়তে অনুরোধ জানালেও কিছুক্ষণ পর তা আবার খুলে ফেলছেন তারা। ওই এলাকায় ট্যুরিষ্ট পুলিশের আনাগোনা থাকলেও পর্যটকদের সচেতনতায় তারা পালন করছেন না কোনো দায়িত্ব। ট্যুরিস্টদের স্বাস্থ্যবিধি মানাতে পর্যটন কর্তৃপক্ষের নেই কোনো উদ্যোগ।

রাজধানী ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা বেসরকারি চাকরীজীবি মো. রবিন বলেন, পকেটে মাস্ক আছে। পাহাড়ের বিশুদ্ধ বাতাস গ্রহণ করতে মাস্ক খুলে ফেলেছি। তার স্ত্রী সালমা বলেন, মাস্ক আছে। পড়তে ভাল লাগছে না।

চট্টগ্রাম থেকে বেড়াতে আসা ব্যবসায়ী নেতা সৈয়দ এজাজুল হক বলেন, মাস্ক আছে। ঘুরতে এসেছি তাই পড়া হয়নি। ফেরার আগে আবার পড়ে নিব।

চট্টগ্রামের স্কুল ছাত্রী ফারিহা দুসরা জানান, মাস্ক সঙ্গে আছে নতুন জায়গায় ঘুরতে এসে খুলে রেখেছি।

রাঙামাটি পর্যটন করপোরেশনের ম্যানেজার সৃজন বিকাশ বড়ুয়া বাংলানিউজকে বলেন, আমরা শুরু থেকে ট্যুরিস্টদের স্বাস্থ্যবিধি মানতে বাধ্য করছি। কাউকে মাস্ক ছাড়া প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। যাদের মাস্ক নেই, তাদের মাস্ক দিয়ে দিচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, পুরো এলাকায় ‘নো মাস্ক, নো এন্ট্রি’ স্টিকার এবং সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে। চেষ্টা চালাচ্ছি সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০২১
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।