ঢাকা: বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব এমিউজম্যান্ট পার্কস এন্ড এট্রাকশনসের (বাপা) প্রতিনিধিগণের সঙ্গে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এবং সচিবের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৭ আগস্ট) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বাপা এ তথ্য জানায়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের পক্ষে প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, অতিরিক্ত সচিব জনেন্দ্র নাথ সরকার ও বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব এমিউজম্যান্ট পার্কস এন্ড এট্রাকশনসের সভাপতি শাহরিয়ার কামাল, সাধারণ সম্পাদক প্রবীর কুমার সাহা ও সমন্বয়ক অনুপ কুমার সরকার।
সভার শুরুতে বাপার সভাপতি শাহরিয়ার কামাল বর্তমান প্রক্ষাপটে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের এসওপি ও সব স্বাস্থ্যবিধি মেনে কিভাবে পার্ক পরিচালনা করা হচ্ছে সে ব্যাপারে প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী এবং মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেন।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেহেতু এই খাতে প্রচুর বিনিয়োগ রয়েছে এবং অনেক লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে, সেজন্য বর্তমান সরকার এই খাতটির ব্যাপারে খুবই আশাবাদী এবং যে কোনো ধরনের সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন।
বর্তমান অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে দেশে অবস্থিত বিনোদন পার্কের চলমান সঙ্কট কাঠিয়ে উঠতে এবং স্ব-অবস্থায় ফিরে আসার স্বার্থে প্রতিমন্ত্রীর নিকট বাপা প্রতিনিধিরা বিভিন্ন প্রস্তাবনাসমূহ তুলে ধরেন।
এর মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য প্রস্তাবনাসমূহ হল-
১. বিনোদন পার্ক, থিম পার্কসমূহ পর্যটন শিল্পের অর্ন্তভুক্ত হওয়ায় এই খাতটিকে শিল্প হিসাবে ঘোষিত সুযোগ সুবিধা পাওয়ার ব্যবস্থা করা।
২. আগামী ৩ বছরের জন্য বিনোদন পার্কের ওপর করপোরেট ট্যাক্স, ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্কসহ অন্যান্য কর মওকুফ করা। অপেক্ষাকৃত কম মূল্যে পর্যটক ও দর্শনার্থীদের বিনোদন সেবা দেওয়া।
৩. বিনোদন পার্কসমূহকে টিকিয়ে রাখার স্বার্থে সরকার কর্তৃক ঘোষিত বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় বিনোদন পার্কসমূহকে অন্তর্ভুক্ত করা।
৪. আগামী ৩ বছর নতুন বিনোদন পার্ক নির্মাণ ও বর্তমান স্থাপনার সংযোজনার জন্য আমদানিকরা বিভিন্ন রাইডসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতিতে মূসক ও শুল্ক কর মুক্ত আমদানীর সুযোগ দেওয়া।
৫. ভবিষ্যতে করোনা ভাইরাস রোধে অন্যান্য অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন স্থানের (যেমন: কক্সবাজার, কুয়াকাটা, রাঙামাটি) সাঙ্গে তুলনা করে বিনোদন পার্কসমূহকে বন্ধ না করে দেওয়ার পদক্ষেপ নেওয়া।
৬. বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় কর্তৃক জনপ্রিয় থিম ও এমিউজমেন্ট পার্কসমূহ দেশি-বিদেশি পর্যটকদের মধ্যে তুলে ধরার লক্ষে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া।
৭. দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত বিনোদন পার্ক সমূহে আগত দর্শণার্থীদের বিশেষ নিরাপত্তার জন্য টুরিস্ট পুলিশের ব্যবস্থা করা।
৮. অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিনোদন পার্কসমূহে কর্মরত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করা।
৯. ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের আর্থিক অনুদান দেওয়া।
১০. আগামী ৩ বছরের জন্য সমস্ত লাইসেন্স ফি মওকুফ করা।
১১. গত ২ বছরের যে সময়গুলো বিনোদন পার্কসমূহ বন্ধ ছিল সে সব মাসের বিদ্যুৎ বিল মওকুফ করা।
প্রস্তাবনাসমূহ বিবেচনা করার জন্য প্রতিমন্ত্রী ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বাপা প্রতিনিধিদের আশ্বস্ত করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০২১
কেএআর