সিলেট: পুঁজির চাকা ঘোরাতে গিয়ে শহরমুখী মানুষ। ক্রমবর্ধমান নগরে এখন জনসংখ্যার চাপ।
এই হাহাকার ঘোচাতে কৃত্রিম উপায় হলেও চিত্তবিনোদন কেন্দ্রে গিয়ে নিজেদের হালকা করতে চান নগরের বাসিন্দারা। কিন্তু নগরে বিনোদনের সুযোগ-সুবিধা গড়ে ওঠেনি সেভাবে। অবশেষে দীর্ঘদিন পরে হলেও চালু হচ্ছে শেখ হাসিনা শিশুপার্ক। এ নিয়ে আগ্রহের কমতি নেই নগরবাসীর।
দীর্ঘ অপেক্ষার প্রহর আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর ঘিরে। এদিন পরীক্ষামূলকভাবে চালু হচ্ছে শেখ হাসিনা শিশুপার্ক। গণমাধ্যমে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে সিসিকের জনসংযোগ শাখা।
সিসিক সূত্র জানায়, ২০০৬ সালে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার আলমপুরে পার্ক নির্মাণ কাজ শুরু করে সিসিক। প্রথম অবস্থায় সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী মরহুম এম সাইফুর রহমানের নামে ছিল পার্কটি। সে সময়ে মাটি ভরাট, সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, বৈদ্যুতিক সাব-স্টেশন স্থাপন, দৃষ্টিনন্দন তোরণ নির্মাণ করা হয়। পার্কের সব কাজ সম্পন্ন হয় ২০০৯ সালে। ২০১৭ সালের ৭ নভেম্বর থেকে পার্কে রাইড বসানোর কাজ শুরু হয়। তখন ছয় মাসের ভেতর পার্কটি চালু হবে বলে আশ্বাস দিয়েছিল নগর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু রাইড বসানোর পর দীর্ঘ প্রায় চার বছর পেরিয়ে গেলেও পার্কটি চালু হয়নি। সরকার পরিবর্তন হওয়াতে নামকরণে জটিলতা সৃষ্টি হয়। এসব কারণে ৮ বছর পরিত্যক্ত থাকে পার্কটি।
পরে ‘সিলেট ন্যাচারাল পার্ক’ নামকরণ করে পার্কটি চালু করার সিদ্ধান্ত নেয় সিসিক। পরে পার্কটির নাম বদল করে শেখ হাসিনা শিশুপার্ক করা হলে অর্থও বরাদ্দ আসে।
সিসিক সূত্রে জানা যায়, পার্ক তৈরিতে এখন পর্যন্ত প্রায় ২৫ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে আরও দুই কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পার্কটিতে ইতোমধ্যে ২০টির মতো রাইড বসানো হয়েছে। এরমধ্যে ম্যাজিক প্যারাস্যুট, মনোরেল, ভিজিটিং ট্রেন, রেলগাড়ি, পাইবেটশিপ, স্নিপার, সিসরাইড, বোট, টুইস্টার, বাম্পার কার, ফ্রুট ফ্লাইং চেয়ার, নাগরদোলা, ফ্যারসেল ও জাম্পিং ফ্রগসহ বেশ কয়েকটি রাইড উল্লেখযোগ্য।
সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) প্রধান প্রকৌশলী মো. নূর আজিজুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, প্রায় ১৫ বছর পর আগামি ২৫ সেপ্টেম্বর পরীক্ষামূলকভাবে ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা শিশু পার্ক’ চালু করা হবে। ওইদিন পার্কটির শুভ উদ্বোধন করবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর থেকে পার্কটি পুরোদমে চালু করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২১
এনইউ/এমআরএ