জাফলং থেকে ফিরে: প্রকৃতির সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমি জাফলং। খাসিয়া জৈন্তা পাহাড়ের পাদদেশে এই প্রকৃতি কন্যার অবস্থান।
প্রকৃতিকন্যা হিসেবে খ্যাত সিলেটের জাফলংয়ে শীতের আগেই দেশীয় পর্যটকদের ভিড় বেড়েছে। প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে শত শত দর্শনার্থীরা আসছেন জাফলংয়ে। আর তাদের কোলাহলেই মুখরিত এখন জাফলং এলাকা।
জাফলংয়ের স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, করোনা ভাইরাসের জন্য লকডাউন চলাকালে অনেক দিনই জাফলংয়ে পর্যটক যেতে পারেননি। তবে এখন করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসায় আবার পর্যটকদের আনাগোনা শুরু হয়েছে। আর শীত আসার আগেই পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে জাফলংয়ে।
জাফলংয়ের স্থানীয় দোকানী আব্দুর রহিমের সঙ্গে আলাপকালে জানান, করোনাকালে এখানে কেউ আসতেন না। সে সময় স্থানীয় দোকানীরা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তবে এখন আবার লোকজন আসা শুরু করছেন। এছাড়া সামনে ট্যুরিস্ট সিজন। এই সময়ে প্রতি বছর এখানে হাজার হাজার লোক বেড়াতে আসেন। এ বছরও এখানে প্রচুর লোক আসবেন বলে আশা করছেন তারা।
সিলেট শহর থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরের জাফলংয়ে থাকার মতো অনেক হোটেল ও রিসোর্ট নেই। সে কারণে পর্যটকরা দিনে দিনেই ঘুরে ফিরে চলে যান। আবার বড় একটা অংশ আসেন পিকনিকে। বিশেষ করে সিলেটের আশেপাশের জেলাগুলো থেকে পিকনিক করতেই বেশি আসেন এখানে।
সুনামগঞ্জ থেকে বেড়াতে এসেছেন হুজমাত হোসেন। তার সঙ্গে আলাপকালে জানালেন, এলাকার ৬ জন বন্ধু একসঙ্গে জাফলংয়ে বেড়াতে এসেছেন। জাফলংয়ের পাহাড় ও নদীর সৌন্দর্যের টানেই তারা এসেছেন।
জাফলংয়ে সারা বাংলাদেশ থেকে ভ্রমণকারীরা আসেন। খুলনা থেকে ফ্যামিলি ট্যুরে এসেছেন মেহনাজ তাবাসসুম। তিনি জানালেন, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে জাফলংয়ে এসেছেন। তারা এসেছেন এখানের সবুজ পাহাড় ও স্বচ্ছ পানির সৌন্দর্য উপভোগ করতে।
স্থানীয়রা জানান, শীতের সময়ে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে শুক্র ও শনিবার দূর দূরান্ত থেকে জাফলংয়ে হাজার হাজার পর্যটক আসেন। অন্য দিনগুলোতে ভিড় একটু কম থাকে। বিশেষ করে নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারিতে জাফলংয়ে প্রচুর ভিড় হয়ে থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩,২০২১
টিআর/এসআইএস