সাতক্ষীরা: সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ ও সামাজিক উদ্যোগে সাতক্ষীরা রেঞ্জে প্রথম প্রতিষ্ঠিত হলো ‘সুন্দরবন হানি ট্যুরিজম’।
বুধবার (১৮ মে) নতুন এ ট্যুরিজমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের খুলনা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মোহসিন।
সাতক্ষীরার শ্যামনগরের বুড়িগোয়ালিনীতে সুন্দরবন সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটির মিলনায়তনে মৌমাছি ও মধু, মৌয়াল, চাষি, গবেষক ও ভোক্তার জাতীয় জোট এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক এম এ হাসান।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আল ওয়ান মধু জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ মোহাম্মদ মঈনুল আনোয়ার, মধু গবেষক আকমুল হোসেন মাহমুদ রাজশাহী ও স্থানীয় ট্যুর অ্যাসোসিয়েশনের আনিসুর রহমান প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. আবু নাসের মোহসিন বলেন, সুন্দরবনকে বিকশিত করার জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প হাতে নিয়েছে বন বিভাগ। এর মধ্যে সুন্দরবন হানি ট্যুরিজম অন্যতম। গত বছরের ২৭ নভেম্বর বিশ্ব ট্যুরিজম দিবসে খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এক সভায় সুন্দরবনে হানি ট্যুরিজম করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। প্রতি বছর মধু সংগ্রহের সময় নির্ধারণ করা হয় ০১ এপ্রিল। যদিও চলতি বছরে মধু সংগ্রহ শুরু হয়েছে ১৫ মার্চ থেকে এবং আগামীতে এ তারিখটাই নির্ধারণ করা হবে। যেখানে মৌয়ালরা আগে দুই মাস মধু সংগ্রহ করতেন, সেখানে মধু সংগ্রহের জন্য তারা আরও ১৫ দিন বেশি সময় পাচ্ছেন। এটা যেহেতু পর্যটকদের মৌসুম, সেক্ষেত্রে পর্যটকদের আকৃষ্ট করার জন্য এ সময় কিছু উদ্যোগ নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মধু গবেষণাকারী প্রতিষ্ঠান ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ছাত্রছা-ত্রীদের ট্যুরিজমের সঙ্গে সংযুক্ত করতে চাই।
পশ্চিম সুন্দরবনের সহকারী বন সংরক্ষক এম এ হাসান বলেন, হানি ট্যুরিজমকে আমরা স্বাগত জানাই। তবে যেহেতু সুন্দরবনে বাঘের এলাকা। বাঘের আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ট্যুর গাইডের সহযোগিতা নিয়ে দলবদ্ধভাবে ট্যুর পরিচালনা করতে হবে। ট্যুরিস্টদের নিরাপত্তার স্বার্থে বন বিভাগ সর্বদাই প্রস্তুত। টেংরাখালীতে আমরা মধুর একটি ছয় কোনা ঘর নির্মাণ করেছি। সেটিই হবে মধু জাদুঘর।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৫ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০২২
এসআরএস