ঢাকা: পর্যটনের উন্নয়নে ওআইসি সদস্যভুক্ত দেশগুলোর একত্রে কাজ করার আরও বেশি সুযোগ ও সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।
মঙ্গলবার (২৮ জুন) বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তিনি বলেন, পর্যটন হল সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল শিল্প। যা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে সমুন্নত রেখে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়তা করে। এই লক্ষ্যে ওআইসি কর্তৃক নিয়মিত এই সম্মেলন আয়োজনের ফলে সদস্য রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে ভবিষ্যতে সহযোগিতা ও সমন্বয় আরও জোরদার হবে। অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কাছাকাছি আসার এবং দৃঢ় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য এটি নতুন সুযোগ ও দিগন্ত উন্মোচন করবে।
তিনি আরও বলেন, পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে ওআইসি সদস্যভুক্ত রাষ্ট্রগুলোর সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সংরক্ষণে একত্রে কাজ করতে হবে। পর্যটন খাতের পরিপূর্ণ বিকাশে ওআইসির সদস্য রাষ্ট্রগুলির মধ্যে সরকারি এবং বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রেই আরও বেশি সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব প্রয়োজন।
মাহবুব আলী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্ব ও নির্দেশনায় বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প ধারাবাহিক উন্নয়নের মাধ্যমে বিকশিত হচ্ছে। বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ, উন্নয়ন বান্ধব কার্যক্রম ও নীতিমালা প্রণয়ন এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নের ফলে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে বেসরকারি খাত উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নতি লাভ করেছে। বন্ধুবৎসল জনগণ, উষ্ণ আতিথিয়তা, অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য এবং নান্দনিক সব পুরাকীর্তি নিয়ে ওআইসিভূক্ত দেশসমূহের নাগরিকদের জন্য বাংলাদেশ হতে পারে জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য।
উল্লেখ্য, গত ২৭ জুন শুরু হওয়া এই সম্মেলন বুধবার (২৯ জুন) শেষ হবে। এতে বাংলাদেশের পক্ষে প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলীর নেতৃত্বে আরও অংশ নিচ্ছেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহির মুহাম্মদ জাবের। এই অধিবেশনে বর্তমান সভাপতি বাংলাদেশ পরবর্তী দুই বছরের জন্য আজারবাইজানের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করবে। ইসলামিক কনফারেন্স অব ট্যুরিজম মিনিস্টার্সের সর্বশেষ সম্মেলন ২০১৯ সালে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১০০৫ ঘণ্টা, জুন ২৯,২০২২
জিসিজি/এমএমজেড