কক্সবাজার: কয়েকদিনের ভাঙনের কারণে শ্রীহীন হয়ে পড়েছে বিশ্বের দীর্ঘতম কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত। লঘুচাপ এবং পূর্ণিমার জোয়ারের প্রভাবে সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে ভাঙন এখনো অব্যাহত রয়েছে।
ঝুঁকির মুখে পড়েছে জেলা প্রশাসনের নির্মিত সৈকতের উন্মুক্ত মঞ্চটি। বালুভর্তি জিওটিউব বসিয়ে ভাঙনরোধের চেষ্টা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তবে ভাঙনের কারণে সৈকতের এমন বেহাল দশা হলেও পর্যটকদের আনন্দে নেই ভাটার টান। এমনই সৈকতে সমুদ্র স্নানে ব্যস্ত হাজারো পর্যটক। কেউ কেউ জিওটিউব আবার কেউবা সেই স্থানের ওপর দাঁড়িয়েই উপভোগ করছেন সৈকতের সৌন্দর্য। চট্টগ্রাম থেকে ভ্রমণে আসা সুভাস ভট্টাচার্য বাংলানিউজকে বলেন, পরিবারের সবাইকে নিয়ে এসেছি। শিশুরাও আছে। ভাঙনের কারণে শিশুদের একটু সমস্যা হচ্ছে। আমরা সতর্ক থাকতে তেমন সমস্যা হচ্ছে না।
‘ভাঙনের শিকার হয়ে সমুদ্রসৈকতের এমন হাল হবে কোনোদিন ভাবিনি। তবে সরকারের কাছে আবেদন জানাবো, ভাঙনরোধে জরুরিভিত্তিতে যেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ’ এমন দাবির কথা জানান ঢাকা থেকে আসা পর্যটক মো. মনির হোসেন। পর্যটকরা যেন দুর্ঘটনার শিকার না হয় সেদিকে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে জানান, সৈকতের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম।
বাংলানিউজকে তিনি বলেন, বৈরী আবহাওয়া এবং পূর্ণিমার জোয়ারের প্রভাবে সাগর এখনো উত্তাল রয়েছে। আপাতত পর্যটকদের সাগরে নামতে একটু বিধি-নিষেধ আরোপ করা হচ্ছে। যেহেতু ঢেউয়ের আঘাতে সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে, পর্যটকরা যেন কোনোভাবে দুর্ঘটনার শিকার না হন, সেজন্য ট্যুরিস্ট পুলিশ সজাগ রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০২২
এসবি/এএটি