কয়েক সপ্তাহের দীর্ঘ ও অসহনীয় কাজের চাপের পর, অবশেষে এসেছে বহুল প্রতীক্ষিত ছুটি। রায়া ও তার বন্ধুদের ভ্রমণে যাওয়ার স্বপ্ন এবার সত্যি হবে।
কর্মব্যস্ত প্রতিটি দিনের নির্দিষ্ট কাজের চাপ দেহ ও মনের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। দুশ্চিন্তা, পারিবারিক দায়িত্ব এবং অসহনীয় কাজের চাপ আমাদের মানসিকভাবে অস্থির করে তোলে। তাই, মানসিক সুস্বাস্থ্যের বিষয়েও আমাদের যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন। কেন না, মানসিক চাপ দীর্ঘস্থায়ী হলে হতাশা, দুশ্চিন্তা এমনকি বাইপোলার ডিজঅর্ডারসহ নানা রকম মানসিক ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা বেড়ে যায়। এজন্য মানসিকভাবে চাপমুক্ত থাকতে আমাদের মাঝেমাঝে কর্মব্যস্ত জীবন থেকে বিরতি নেওয়া প্রয়োজন। আর প্রশান্তিদায়ক বিরতি হিসেবে ভ্রমণের চেয়ে ভালো আর কিইবা হতে পারে!
ভ্রমণের মাধ্যমে পরিবেশ পরিবর্তন করা হলে হতাশা ও চাপ থেকে মুক্ত থাকা যায়, দৈনন্দিন জীবনের একঘেয়েমি থেকে দূরে থাকা যায়। ভ্রমণ আমাদের প্রতিদিনকার একই কাজের চক্র থেকে বের হয়ে মনকে সতেজ করার মাধ্যমে দুশ্চিন্তামুক্ত জীবন গড়তে সাহায্য করে। ভ্রমণের দিনগুলোতে মজার সব খাবার, প্রকৃতির কাছে চলে যাওয়া এবং মনোমুগ্ধকর দৃশ্য উপভোগের পর কাজে আরও মনোযোগ দেওয়ার জন্য শক্তি যোগায়। ভ্রমণ বিভিন্নরকম অভিজ্ঞতার মাধ্যমে মন ও আত্মার উন্নয়ন ঘটানোর মধ্য দিয়ে আমাদের নিজেদের খুঁজে পেতে ভূমিকা রাখে।
নতুন কিছু পাওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে হাজির হয় ভ্রমণ। নতুন জায়গা, খাবার, নতুন নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচয়, বিভিন্ন রকম সংস্কৃতি ও পরিবেশের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে আমাদের অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করে। এটা বলা বাহুল্য যে, ভ্রমণ আমাদের নিজেদের যত্ন নেওয়ার মাধ্যমে মনকে প্রফুল্ল করতে সাহায্য করে। তার ওপর এর মাধ্যমে আমরা আমাদের মনের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি সৃষ্টিশীলতা এবং কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে পারব।
নিজেকে কল্পনা করুন কোনো ঝর্ণার পাশে। কুলকুল শব্দের পানি গড়িয়ে যাচ্ছে নিচের দিকে। কারও ডাকাডাকি নেই, কোনো কাজ জমা দেওয়ার তাড়া নেই। শুধু প্রকৃতির পাশে বসে থাকতে থাকতে কেমন স্বর্গীয় অনুভূতি হবে!
ভ্রমণের পাশাপাশি, ভ্রমণের প্রস্তুতি নেওয়াও সমান রোমাঞ্চকর। কোথায় থাকবেন তা ঠিক করা, কীভাবে যাবেন তা পরিকল্পনা করার মাধ্যমে ভ্রমণ যেন আরও আনন্দদায়ক হয়ে ওঠে। এমনকি ইউটিউব বা ওয়েব আর্টিকেলের মাধ্যমে পছন্দের জায়গা দেখা কখনো কখনো টিভি সিরিজ দেখার চেয়েও রোমাঞ্চকর মনে হয়।
তবে, অনেক সময় প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা অথবা সামর্থের মধ্যে সাধ্যের মধ্যে ভ্রমণ যাত্রা দুরূহ হয়ে উঠতে পারে। ভ্রমণের সঙ্গে সম্পর্কিত আনুষাঙ্গিক বিষয়গুলো হয়ে উঠতে পারে ক্লান্তিকর, যা আমাদের উদ্বিগ্ন করে তুলতে পারে। তার ওপর বিশ্বজুড়ে চলছে অর্থনৈতিক সংকট, এ সময় ভ্রমণের আর্থিক বিষয়টি ঠিকমতো পরিকল্পনা করতে না পারলে, ভ্রমণ বিষয়টিও হয়ে উঠতে পারে বাড়তি চাপের কারণ। এ ধরনের পরিস্থিতিতে, জটিলতা কমিয়ে ভ্রমণের পরিকল্পনাগুলোকে ঠিকমতো সাজাতে একটি অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি বিশ্বস্ত বন্ধু হিসেবে হাজির হয়। আর এজন্য ভ্রমণের পরিকল্পনা করা এখন আগের চেয়েও সহজ হয়েছে। আর এ সুবিধা পেতে আপনাকে যা করতে হবে তা হলো- ট্রাভেল এজেন্সির এজেন্টকে কল করা এবং তারপর নিজের ব্যাগপত্র গুছিয়ে নিয়ে ভ্রমণের জন্য বেরিয়ে পড়া।
ভ্রমণ অবকাশ যাপনের মাধ্যমে মানসিক দুঃশ্চিন্তা কমানোর সুযোগ নিয়ে আসে। যেমন শেয়ারট্রিপের মতো অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি ভ্রমণকে করে তোলে আরও ভাবনাহীন। এছাড়াও এয়ারলাইন্স, হোটেল, মোটেলগুলো বিভিন্ন সময়ে ছাড়ে ঘোরার সুযোগ করে দেয় পর্যটকদের জন্য।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২২
এসআইএস